দেশ ডিজিটালাইজেশনের পথে যাত্রা করে প্রায় দেড় যুগ আগে। কথা ছিল ২০২১ সালের মধ্যে সব সরকারি সেবা যে কোনো স্থান থেকে সহজে, স্বচ্ছভাবে, কম খরচে ও কম সময়ে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের ডিজিটাল যাত্রায় সুফলও এসেছে। হাতে হাতে এখন মোবাইল। ঘরে বসে অনলাইনে করা যাচ্ছে কেনাকাটা। লেনদেন হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং ও অনলাইনে। ৯৯৯-এ ফোন করলেই মিলছে নানা সহায়তা। তবে ২০২৪ সালে এসেও এখনো অধিকাংশ সরকারি সেবা পেতে হাজির হতে হচ্ছে সশরীরে। এনআইডি থাকা সত্ত্বেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আঙুলের ছাপ দিতে যেতে হচ্ছে বিআরটিএ অফিসে। ধীরগতির ইন্টারনেট লাগাম টানছে ডিজিটাল উন্নয়নের। আধুনিক টোল প্লাজায় টোল দিতে হচ্ছে হাতে হাতে। এনআইডি সার্ভার থেকে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য। ব্যাংক থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে গ্রাহকের টাকা।
এদিকে সরকারি সেবা ডিজিটাল করতে গত এক দশকে শুধু অবকাঠামো তৈরিতেই বিনিয়োগ হয়েছে কয়েক লাখ কোটি টাকা। তবুও ডিজিটালাইজেশনে বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশ। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক প্রকাশিত ‘ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ ইনডেক্স-২০২৩’ বা ডিজিটাল জীবনমান (ডিকিউএল) সূচকে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ছয় ধাপ অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। ১২১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮২তম। ২০২২ সালে ছিল ৭৬তম। এশিয়ার ৩৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫তম। ইন্টারনেট ব্যবহারের সামর্থ্য, ইন্টারনেটের মান, ই-অবকাঠামো, ই-নিরাপত্তা, ই-গভর্নমেন্ট এ পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ডিকিউএল ইনডেক্স নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠানটি। এতে দেখা যায়, ইন্টারনেট ব্যবহারের সামর্থ্যে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৪৮ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ইলেকট্র্রনিক নিরাপত্তায় পিছিয়েছে ১০ ধাপ। তবে এক ধাপ উন্নতি হয়েছে ইলেকট্র্রনিক অবকাঠামোয়। ১৩ ধাপ উন্নতি হয়েছে ই-গভর্নমেন্টে, দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে ইন্টারনেটের মানে। তবে উন্নতির পরও ইন্টারনেটের গতিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের পেছনে বাংলাদেশের অবস্থান।বিস্তারিত