অনলাইন ডেস্ক
বিরোধীদের অভিযোগ, চলমান লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে নিজ দলের পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে প্রায় সময়ই হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারী ইস্যুগুলোকে টেনে আনছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিষয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও করেছিলেন বিরোধীরা। সর্বশেষ বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার পরও মন্দির-মসজিদের মতো হিন্দু–মুসলিমের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারী ইস্যুগুলো নির্বাচনী প্রচারণায় অন্তত ৪২১ বার টেনে এনেছেন মোদি।
ভারতীয় টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১ জুন ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবারই ছিল নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন। এই দিনটিতেই এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির অভিযোগ করেন খাড়গে। তিনি জানান, গত ১৫ দিনের মধ্যে মোদি যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলোতে অন্তত ২৩২ বার তিনি কংগ্রেসের নাম উচ্চারণ করে বিষোদ্গার করেছেন। পাশাপাশি আত্মপ্রেমে মগ্ন প্রধানমন্ত্রী নিজের নামটিও মুখে এনেছেন অন্তত ৭৫৮ বার।
খাড়গের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে বিভাজন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ইস্যু এবং বিরোধীদের আক্রমণ করে বক্তব্য দিলেও দেশের বেকারত্ব নিয়ে একবারের জন্যও কোনো কথা বলেননি মোদি।
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোটই নির্বাচনে বিজয়ী হবে বলে আশাবাদী খাড়গে। দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জাতীয়তাবাদী সরকার গঠন করাই এই জোটের লক্ষ্য। কংগ্রেসপ্রধান বলেন, ‘আগামী ৪ জুনের ফলাফলে সাধারণ মানুষ একটি বিকল্প সরকারের পক্ষেই রায় দেবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
তিনি বলেন, ‘মানুষেরা আমাদের চিন্তার সঙ্গে একমত যে এই সরকারকে যদি আরেকটি সুযোগ দেওয়া হয়, তবে এটি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে মোদির একটি বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়েও কথা বলেন খাড়গে। সম্প্রতি মোদি দাবি করেছিলেন, ব্রিটিশ নির্মাতা অ্যাটেনবোরোর ‘গান্ধী’ সিনেমা মুক্তির আগে মহাত্মা গান্ধীকে বিশ্বের কেউই চিনত না। গান্ধীর মতাদর্শ ও পরিচিতিকে দমিয়ে রাখার জন্য তিনি বিরোধী দল কংগ্রেসকে দায়ী করেছিলেন।
তবে এই বিষয়ে খাড়গে বলেন, ‘তিনি (মোদি) সম্ভবত গান্ধীকে নিয়ে কোনো পড়াশোনা করেননি। গান্ধী আরও আগে থেকেই বিশ্বজুড়ে পরিচিত ছিলেন।’