ডিজিটাল ডেস্ক
দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পেতে স্ত্রীকে বুটিক ব্যবসায়ী সাজিয়েও পার পেলেন না আবুল হাশেম নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি স্ত্রীর ব্যবসার টাকা দিয়ে চট্টগ্রাম নগরের খুলশীতে ৪ তলা বাড়ি করেছেন- এমন দাবি করলেও, সে ব্যবসার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার নাম আবুল হাশেম। তিনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ বিভাগে চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবুল হাশেম ও তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে দুদক পৃথক দুটি মামলা করেছে। সংস্থাটির দাবি, চাকরিতে থাকার সময় অসৎ উপায়ে অর্জিত টাকায় বাড়িটি করেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক আতিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবুল হাশেম বিরুদ্ধে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে উঠেছে। আরেক মামলায় আবুল হাশেম ও তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকার তথ্য গোপন এবং ৪৩ লাখ ৩২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে এজাহারে।
দুদক সূত্র জানায়, চাকরিজীবনে ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ২০১৮ সালে আবুল হাশেম ও তার স্ত্রীর সম্পদবিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। পরে তারা সম্পদবিবরণী জমা দিলে ১১ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৬২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য উঠে আসে।
মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, আবুল হাশেম ২০১৫ সালে নগরের খুলশীর রূপসী হাউসিং সোসাইটি এলাকায় ৪ তলা বাড়ি নির্মাণ করেন। ওই সময় তার স্ত্রীর কোনো আয় ছিল না। স্ত্রীর আয় দিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করিয়েছেন দেখানোর জন্য স্ত্রীকে বুটিক ব্যবসায়ী ও টিউশনি করিয়েছেন দাবি করেন। কিন্তু দুদকের তদন্তে স্ত্রীর বুটিক ব্যবসার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।