1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ডলারের বাজার আবার অস্থির Govt grants 10-year tax holiday for renewable energy firms Mobile surveillance used in pinpointing victims’ location: Commission গ্যাস সংকটে উৎপাদন নেমে অর্ধেকে, কয়েক শ কারখানা বন্ধ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসির পরিকল্পনায় ডিসেম্বর ২০২৫ ভোটার তালিকায় ত্রুটি নেই দাবি ইসির সরকারের এক পক্ষ ২০২৬-এর এপ্রিলে, বিএনপিসহ সমমনারা চায় ২০২৫-এর জুনের মধ্যে ভোট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ ২০২৫-এর মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি ও বিভিন্ন দল লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আসছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ফের আন্দোলনে নামছে বিএনপি দ্রুত সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দাবি, চলছে নির্বাচনি প্রস্তুতি

দুদিনে ব্যাংকের ধার ৪২ হাজার কোটি টাকা

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪
  • ৪৪ বার দেখা হয়েছে

তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোর ধারের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ধার করা টাকার সুদহার। রোব ও সোমবার দুইদিনে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক, কলমানি মার্কেট এবং এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ধার করেছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। একদিন, সাতদিন ও মেয়াদি উপকরণের মাধ্যমে এসব অর্থ ধার করা হয়। বেশ কিছু দিন ধরেই কলমানির সুদ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশে উঠেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধারের সুদহার আগে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশে উঠেছিল। রোববার তা বেড়ে ১০ শতাংশে উঠেছে। সোমবারও ১০ শতাংশ সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিয়েছে।

এদিকে গত বছরের জুন থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ব্যাংক খাতে তারল্য বেড়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকা। গত জুনে ব্যাংকগুলোয় তারল্য ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা। এপ্রিলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকায়। আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ, আমানত বৃদ্ধি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থের জোগান দেওয়ায় ব্যাংকগুলোয় তারল্য বেড়েছে। তারল্য বাড়লেও ব্যাংকগুলোয় নগদ টাকার সংকট কাটেনি। টাকার সংকট মেটাতে ব্যাংকগুলো এখন চড়া সুদে আমানত নিচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকেও ধার করছে। এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, কলমানি মার্কেট এবং এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ধার করছে। এ ধারের প্রবণতা দিনদিন বাড়ছে।

ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনায় এই দুর্বলতার তথ্য আইএমএফ-এর প্রতিবেদনেও ওঠে এসেছে। সংস্থাটি বলেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ধার দেওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে। ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি সম্পর্কে আগাম প্রতিবেদন প্রকাশ করতেও বলা হয়েছে। আইএমএফ-এর শর্তের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপোর নিলাম প্রতি কার্যদিবস করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে সপ্তাহে দুইদিন রেপোর নিলাম হচ্ছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাংকগুলোকে প্রতিদিনই তারল্য সুবিধা দেওয়ার সুযোগ রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তারল্য সংকট মেটাতে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় ধার নিয়েছে ১১ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। এর সুদের হার ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ। আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো ধার করত সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে। রোববার তা বেড়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশে উঠেছে। সোমবারও সর্বোচ্চ সুদহার ১০ শতাংশে ওঠে। এদিন ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করেছে ১৭ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। দুইদিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করেছে ২৯ হাজার ৪৭ কোটি টাকা।

এর বাইরে কলমানি মার্কেট থেকে রোববার ধার করেছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। সোমবার ধার করেছে ৭ হাজার কোটি টাকা। দুইদিনে ধার করে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এ খাতে সর্বোচ্চ সুদের হার উঠেছে সাড়ে ১২ শতাংশ।

সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলো কলমানি মার্কেট থেকে ধার করে একদিনের জন্য, যা ‘ওভারনাইট’ হিসাবে পরিচিত। পরের দিনই তা ফেরত দিয়ে দিচ্ছে। তবে ধারদাতা ও গ্রাহীতা দুই পক্ষ একমত হলে ধারের মেয়াদ বাড়াতে বা নবায়ন করতে পারে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো ৫ দিন, ৭ দিন, ১২ দিন, ১৪ দিন মেয়াদি উপকরণে স্বল্পমেয়াদি ধার নিতে পারে। ৯২ দিন মেয়াদি ধারও নিচ্ছে। ব্যাংকগুলো মেয়াদ শেষে ওইসব ধারের অর্থ ফেরত দিয়ে আবার নতুন করে ধার নিচ্ছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com