নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বন্ধন পরিবহন দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের সময় এক ব্যক্তিকে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে মাহবুব উল্লাহ তপনের ভাগনে এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন রানা তার সমর্থকদের নিয়ে টার্মিনাল দখল করে। তারা সিটি বন্ধন পরিবহনের কাউন্টারের কর্মীদের মারধর করে এবং কাউন্টার দখল করে নেয়।
পরে দুপুর দেড়টার দিকে লিটন ও সালাউদ্দিন সাল্লুর নেতৃত্বে জাকির খান গ্রুপের সমর্থকরা টার্মিনাল দখলমুক্ত করার চেষ্টা চালায়। এ সময় কাউন্টারের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয় এবং একজনকে অস্ত্র হাতে দুটি ফাঁকা গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
বিকেল ৩টার দিকে সাখাওয়াত হোসেনের পক্ষের সমর্থকরা পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয় এবং ঢাকার পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেলোয়ার হোসেন, সিটি বন্ধন পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জানান, ‘২০০৯ সালে মাহবুব উল্লাহ গাড়ি বিক্রি করে চলে যান। আমরা শ্রমিক ও মালিকেরা মিলে সিটি বন্ধন পরিবহন পরিচালনা করছি। এখন বিএনপি নেতা মাহবুব উল্লাহ ও তার সমর্থকেরা জোরপূর্বক টার্মিনাল দখল করে নিয়েছে।’
সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনী এবং পুলিশ মিলে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।