ডিজিটাল ডেস্ক
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা টেলিকম ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রজেক্টের সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ এসেছে দুদকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্বাচিত ৩৯৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭০ ইঞ্চি ৩৯৫টি এলইডি টিভি সরবরাহ করার টেন্ডার পায় ফ্লোরা টেলিকম নামক প্রতিষ্ঠান। যার মূল্য ৪ কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
ওয়ার্ক ওর্ডারের শর্ত অনুযায়ী, পণ্য সরবরাহের পর এলসির মাধ্যমে সম্পূর্ণ টাকা মধ্যবর্তী ভেন্ডর-র্যাংগস ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডকে পরিশোধের কথা ছিল। তবে ১ কোটি টাকা পরিশোধের পর ৩ কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা ফ্লোরা টেলিকম পরিশোধ না করে অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলন করে এবং তা সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং করে। এমনই অভিযোগ এসেছে দুদকের হাতে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, অপরিশোধিত অর্থ ওই প্রজেক্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাগণ ও ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউক (ব্যবস্থাপনা পরিচালক), তার স্ত্রী ফারাহ ইসলাম (পরিচালক), শহিদুল ইসলাম দুলাল (নির্বাহী পরিচালক), মো. মোশাররফ হোসেনের (নির্বাহী পরিচালক, অর্থ) মাধ্যমে অবৈধ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়ে থাকতে পারে।
অভিযোগের ব্যাপারে দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অর্থ আত্মসাতের বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা তারা পেয়েছে। সরকারি প্রজেক্টের অর্থ উত্তোলন ও আত্মসাতের সাথে সরকারি কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছে কিনা এবং বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউকের বিশেষ ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে তথ্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তাদের তদবিরে কমিশনের মাধ্যমে কাজ পাওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।