হেমন্তের অন্তিম ঘনিয়ে গুটি গুটি পায়ে শীতল চাদর লেপ্টে চলেই এলো শীতকাল। দেশের উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে হেমন্তের শুরতেই। এখন সারাদেশেই ঠাণ্ডা কাবু করতে শুরু করেছে। শীথকালের বিশেষত্ব তাজা সবজি, গরম গরম ধোয়া ওঠা পিঠা আর শীতের ছুটিতে কাঁথা মুড়ি দেওয়া গভীর ঘুমে যে শীতের আনন্দে, তাতে যেন পানি ঢেলে দেয় এই রুক্ষ আবহাওয়া।
শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের ঘাটতির প্রভাব পরে ত্বকেও। ত্বক হয়ে পরে রুক্ষ, নির্জীব এবং ফ্যাকাসে। অনেকের মুখে ও শরীরে অস্বস্তি-চুলকানি হওয়ারও নজির রয়েছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইতে খেতে হবে উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সব খাবার। বাড়তি যত্নে পাশাপাশি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এবং খনিজের মতো পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খাওয়ার ফলে পানিশূন্যতাও দূর হয়, ত্বকে জেল্লাও আসে।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু অত্যন্ত উপকারী এবং সুস্বাদু একটি খাবার। যারা মিষ্টিজাতীয় খাবার পছন্দ করেন, তবে ক্ষতিকর শর্করা বা চিনি এড়িয়ে চলতে চান, তাদের জন্য বেশ ভালো একটি পছন্দ মিষ্টি আলু। তবে শুধু স্বাদের জন্যই নয়, বিটা ক্যারোটিনের ভালো একটি উৎসখাদ্য হিসেবেও মিষ্টি আলু প্রাধান্য পায়। মিষ্টি আলু পুরাতন কোষ সরিয়ে নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে, বিধায় রুষ্ক আবহাওয়াতেও ত্বক সুন্দর রাখতে পারে।
পালং শাক: শুধু আয়রন নয়, পাশাপাশি ভিটামিন এ এবং সি এর অন্যতম জনপ্রিয় উৎস হলো পালং শাক। এই ভিটামিনগুলো ত্বকে হওয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আবশ্যক। এছাড়া কোলাজেন উৎপাদনেও প্রভাবিত করে। তাই শীতকালীন ত্বকের যত্নে দুর্দান্ত কাজ করতে পারে পালং শাক।
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, গ্লুটামিন এবং ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এসব অ্যামিনো অ্যাসিড ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শীতকালে ত্বক এবং শরীরের ভেতরেও অনেক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে। এই সব ময়েশ্চারাইজ করে ত্বকে নমনীয়তা এনে শুষ্কভাব দূর করতে কাজ করে। পাশাপাশি এরা ত্বককে পরিষ্কার করে এবং পরিবেশের শুষ্কতার চাপ থেকে রক্ষা করে।
গাজর: শীতকালে ত্বক উজ্জ্বল রাখতে আরেকটি ভালো সবজি হলো গাজর। এতে আছে বিটা-কেরোটিন, যা ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে উজ্জ্বলতা আনে। তাছাড়া গাজরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিন ত্বককে রোদের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকেও সুরক্ষা দেয়।
ব্রোকলি: ব্রোকলি একটি ক্রুসিফেরাস সবজি, যাতে প্রচুর ভিটামিন এ ও সি থাকে। তাই ব্রোকলি খেলে কোলাজেন উৎপাদন ত্বরান্বিত হয় এবং ত্বকের শুষ্ক দাগও দূর হয়। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া