ম্যাচগুলো আনুষ্ঠানিক কিছু নয়। এই ম্যাচে পনেরো জন খেলোয়াড়ের সবাই ঘুরেফিরে খেলতে পারবেন। এমনকি এসব ম্যাচের রেকর্ডও সংরক্ষণ করা হবে না। তারপরও এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পাকিস্তানের বিপক্ষে আজকের অনুশীলন ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবে বাংলাদেশ।
কার্ডিফে আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান অনুশীলন ম্যাচ। ২ জুন মূল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তার আগে আরো একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবেন মাশরাফিরা। ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৮ মে।
আজকের খেলার ভেন্যুটা বাংলাদেশকে প্রেরণা জোগাতে পারে। এই কার্ডিফে বাংলাদেশের রয়েছে শতভাগ জয়ের রেকর্ড। এখানেই ২০০৫ সালে সে সময়ের বিশ্বসেরা দল অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। সেটা ছিল তখনকার ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ব্যাপার। এরপর ২০১৭ সালে এই ভেন্যুতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্রুত কয়েকটা উইকেট হারানোর পর সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জোড়া সেঞ্চুরি ‘মহাকাব্য’ তৈরি করেছিল।
এই কার্ডিফেই বাংলাদেশ খেলবে দুটি অনুশীলন ম্যাচ। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মূল টুর্নামেন্টেও একটি ম্যাচ খেলবে মাশরাফিরা এখানে। ফলে এই ম্যাচগুলোতে অন্তত স্মৃতি বাংলাদেশের পাশে থাকতে পারে।
আজকের ম্যাচে ফলাফল কোনো দলের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ না। যদিও প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় আজ পাকিস্তানের জয় পাওয়ার একটা তাড়া থাকবে। সেই সাথে তারা গত ১০ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে হারের স্মৃতিটাও ভুলতে চাইবে। বাংলাদেশের ওরকম কোনো তাড়া নেই।
আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট জিতে ফুরফুরে মেজাজেই ইংল্যান্ডে গেছে তারা। ফলে এই দুটো অনুশীলন ম্যাচ বাংলাদেশের কাছে স্রেফ খেলোয়াড়দের সমন্বয়টা দেখে নেওয়ার সুযোগ। আজকের ম্যাচে বিশেষ করে নজরে থাকবেন রুবেল হোসেন ও সাব্বির রহমান রুম্মন।
আরো পড়ুন: বিশ্বকাপ ঘিরে টাইগারদের নিয়ে ‘থিম সং’
রুবেল ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার পর আয়ারল্যান্ডে খেলার সুযোগ পাননি। তার বদলে নতুন বলে সাইফউদ্দিন বল করেছেন। মূল টুর্নামেন্টে তাকে চাইবে বাংলাদেশ। ফলে তার এই ম্যাচে পারফরম্যান্সের দিকে চোখ থাকবে ম্যানেজমেন্টের।
পাশাপাশি সাব্বিরের জন্য এই দুটি ম্যাচ পরীক্ষা হতে পারে। তিনি জ্বলে উঠতে না পারলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত মূল টুর্নামেন্টের একাদশে জায়গা করে নিতে পারেন। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি একটা জয় এলেও বাংলাদেশ নিশ্চয়ই খুশি হবে।