1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

লাখ কোটি টাকা ছাড়াল খেলাপি ঋণ

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১০ জুন, ২০১৯
  • ১৫৯ বার দেখা হয়েছে

ঋণ খেলাপিদের জন্য বড় সুবিধা আসছে, এমন ঘোষণায় তিন মাসেই দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। এর ফলে প্রথমবারের মতো অবলোপনের হিসাব বাদে খেলাপি ঋণ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল গত ১০ জানুয়ারি সব ব্যাংক মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছিলেন, আজ থেকে খেলাপি ঋণ আর এক টাকাও বাড়বে না। আর জানুয়ারি-মার্চ এ তিন মাসেই খেলাপি ঋণ এত বাড়ল।

গত মার্চ শেষে ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। ২০১৮ সাল শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ডিসেম্বরের চূড়ান্ত হিসাব তৈরির আগে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের বিভিন্ন নিয়মে ছাড় দিয়ে ঋণ পুনঃ তফসিল করেছে। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও অনেকে ঋণ পুনঃ তফসিল করেছিল। ওই সময়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়মিত করা হয়। এসব ঋণ এখন নতুন করে খেলাপি হয়ে পড়েছে। যে কারণে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে।

সূত্র জানায়, মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় ২০০৯ সালের শুরুতে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। আর এখন তা বেড়ে হলো প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ১০ বছর ৩ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪ গুন।
এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক তথ্য। তবে ব্যাংক কর্মকর্তারাই বলছেন, প্রকৃত খেলাপি ঋণ আরও অনেক বেশি। অনেকগুলো ব্যাংক বড় অঙ্কের ঋণ আদায় করতে পারছে না, আবার তা খেলাপি হিসেবেও চিহ্নিত করছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকও এতে নজর দিচ্ছে না। এ ছাড়া শেয়ারবাজারের অজুহাতে প্রতিবছরই ব্যাংকগুলো নানা ছাড় নিচ্ছে। এতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্যও বেরিয়ে আসছে না। পাওয়া যাচ্ছে না ব্যাংকগুলোর প্রকৃত চিত্র।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, আমি মনে করি, ঘোষিত খেলাপি ঋণের চেয়ে অঘোষিত বেনামি ঋণ বেশি ভয়ংকর। খেলাপি ঋণ আদায়ে আইনগত কাঠামো পরিবর্তন আনতে হবে।

খেলাপি ঋণের চিত্র
২০১১-২২,৬৪৪
২০১২-৪২,৭২৫
২০১৩-৪০,৫৮৩
২০১৪-৫০,১৫৫
২০১৫-৫১, ৩৭১
২০১৬-৬২,১৭২
২০১৭-৭৪,৩০৩
২০১৮-৯৩,৯১১
২০১৯, মার্চ-১,১০, ৮৭৩

(হিসাব কোটি টাকায়)
সূত্র বাংলাদেশ ব্যাংক

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com