1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘাত বৃদ্ধি, মধ্যস্থতায় উদ্যোগী যুক্তরাষ্ট্র সচিবালয়ে ভাতা দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে নন-ক্যাডার কর্মচারীরা মেগা প্রকল্প বন্ধ করে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগের অঙ্গীকার তারেক রহমানের ইমরান খানের সাক্ষাৎ নিষেধাজ্ঞা ঘিরে আদিয়ালা কারাগারে উত্তেজনা, পুলিশের অভিযান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার সুরক্ষায় স্থায়ী কাঠামো গঠনের ওপর জোর এসআই আফতাব উদ্দিন রিগানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপের দ্বাদশ বৈঠক শুরু নির্বাচন তফসিল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করছে নির্বাচন কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত আওয়ামী লীগবিষয়ক জনপ্রিয়তা জরিপের নৈতিকতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের প্রশ্ন

জিইডির অর্থনৈতিক আপডেট মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি মাছে-ভাতেই

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
  • ১০৪ বার দেখা হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

মাছে-ভাতে বাঙালি—এই পরিচিতির পেছনে রয়েছে আমাদের খাদ্য সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে সেই মাছ-ভাতই এখন সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার উৎস। তিন বছরের বেশি সময় উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধকলে থাকা মানুষের চাপ সামলাতে হয়েছে খাবারের উচ্চমূল্যে। সরকারি তথ্য বলছে, উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির পেছনে প্রায় ৭০ শতাংশ প্রভাব রাখছে চাল ও মাছের দাম।

অর্থাৎ এ দুই আবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের দাম এখনো নাগালের বাইরে।
মে ২০২৫ পর্যন্ত সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিতে খাদ্যপণ্যের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। চাল ও মাছই এর মূল চালিকাশক্তি। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) জুন ২০২৫ অর্থনৈতিক আপডেট অনুসারে, মে মাসে চাল একাই ৪০ শতাংশ এবং মাছ ২৮ শতাংশ প্রভাব রেখেছে সামগ্রিক খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে।

বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে মাঝারি চাল এককভাবে ২০.৪৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী, যা আগের মাসের তুলনায়ও বেশি। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার তালিকায় আরো আছে মাঝারি ও মোটা চাল, ইলিশ, পাঙ্গাশ, বেগুন, সয়াবিন তেল, আম, কুমড়া ও লাউ। এসব খাতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়েছে। কমেছে আলু ও মুরগির দাম।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাজার অস্থিরতার পেছনে দায়ী মূলত সিন্ডিকেট। সরকারের অনেক প্রচেষ্টার পরও বাজার ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও চালের বাজারে অস্থিরতা রয়েই গেছে।

খাদ্যশস্যে উচ্চ উৎপাদন সত্ত্বেও বাজারে তার সুফল এখনো পৌঁছেনি। বোরো ধানের ফলন ভালো হলেও ধান সংগ্রহ, বাজারজাতকরণ এবং পাইকারি পর্যায়ে কিছু অসামঞ্জস্যের কারণে চালের দাম স্থিতিশীল হয়নি।

বাজেটে মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় উদ্যোগ : ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতির চাপ লাঘবে বেশ কিছু কাঠামোগত পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। যেমন—কৃষি আয়ে আয়কর ছাড়, পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত কৃষি আয়ের ওপর করমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১১০টি পণ্যে আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক হ্রাস ও ট্যারিফ ভ্যালু বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে আমদানি করা পণ্যের দাম কমে। কম্বাইন হার্ভেস্টার তৈরির যন্ত্রাংশেও শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে, যাতে চাষাবাদ আরো আধুনিক হয়।

রপ্তানি ঘুরে দাঁড়ালেও ভোক্তার কষ্ট কাটেনি : রমজান ও ঈদের প্রভাবে এপ্রিল মাসে রপ্তানি হঠাৎ কমে ৩.০২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এলেও মে মাসে তা বেড়ে ৪.৭৪ বিলিয়নে পৌঁছে, যা পুরো বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বিনিময় হারের চাপে টাকার মান কমেছে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রতি ডলার ছিল ১০৮.৯৬ টাকা, যা মে ২০২৫-এ এসে দাঁড়ায় ১২২ টাকায়। আমদানিনির্ভর খাদ্যপণ্যের দাম এতে আরো বেড়ে যায়।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার বাজেটে যত পরিকল্পনাই করুক, তার প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছতে সময় লাগে। আবার বাজারে সরবরাহ চক্রে সামান্য বিঘ্ন ঘটলেই মূল্যস্ফীতির আগুন জ্বলে ওঠে। বাঙালির চিরচেনা খাবার মাছে-ভাতে যে চাপ পড়েছে, তার থেকে মুক্তি পেতে দরকার সমন্ব্বিত ও কার্যকর বাস্তবায়ন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com