ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ;বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের একটা চুক্তি আছে যেটাকে বলা হয় সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট। এই চুক্তিটা খুব বড় জিনিস। তার জন্য সংবিধান তৈরি হয়। আর এই সংবিধানের আইনগুলো তৈরি হয় জনকল্যাণের জন্য। বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে দেশের মালিক জনগণ।’
মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তন হলরুমে এক কর্মী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশ পরিচালিক হবে জনগণের ইচ্ছায়। সেটা হওয়ার প্রক্রিয়া হলো ৫ বছর পরপর একটি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে সে দল সরকার গঠন করতে পারবে। এটি জনগণের একটি ব্যবস্থা।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি দল এই ব্যবস্থাকে যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার না করা যায়, নির্বাচন যাতে তারা তাদের মতো করতে পারে সেজন্য এই নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকেই তারা বাতিল করে দিয়েছে।’
নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করে ফখরুল আরও বলেন, ‘এবারও আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু এবারে ভিন্ন পদ্ধতিতে তারা গায়ের জোরে বন্দুক-পিস্তল দিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নির্বাচনের ফলাফলকে তাদের পক্ষে নিয়ে গেছে। ৫ শতাংশ জনগণও ভোট দিতে যায়নি। দেশের ন্যুনতম যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটাকে ধ্বংস করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘বিএনপির হাজারও নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে গুম, খুন করা হয়েছে। এটি শুধু একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। নির্বাচনের নামে নাটক প্রহসন তামাশা করার জন্য তারা এই ব্যবস্থাকে সাজিয়েছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন লালসহ জেলা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীবৃন্দ।