1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

অনলাইন প্রতারণা ঠেকাতে আসছে ডিজিটাল বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১২০ বার দেখা হয়েছে

মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য বিক্রি করলে অনলাইন বিক্রেতাকে দুই বছরের কারাদণ্ড, অনাদায়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে পণ্য বা সেবা সরবরাহ না করলে মূল্যের কয়েক গুণ জরিমানা আরোপ করা হবে। নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও থাকছে বড় অঙ্কের জরিমানার বিধান। এমন সব বিষয় যুক্ত করে ডিজিটাল বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মে মাসেও তৎকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে একটি খসড়া অনুমোদন হয়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিষয়টি আর এগোয়নি। এখন খসড়াটি নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই এটি অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানাগেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ই-কমার্স খাতের বিকাশ ও এ খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য এ অধ্যাদেশ গঠন করা হচ্ছে। অধ্যাদেশ পাশ হলে কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। ডিজিটাল বাণিজ্যের প্রসার, শৃঙ্খলা রক্ষা, বাণিজ্য-বিরোধ নিষ্পত্তি ও অপরাধ প্রতিরোধের তদারক করবে এ কর্তৃপক্ষ।

ফোর্বসের তালিকায় এশিয়ার শীর্ষ ১০০ স্টার্টআপে বাংলাদেশের পাঠাও ও সম্ভব
খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘ডিজিটাল বাণিজ্য’ বলতে যে কোনো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে পণ্য ও সেবা কেনাবেচা বোঝাবে। অনলাইনে কেনাবেচাযোগ্য পণ্য বা সেবা প্রদর্শিত বা ঘোষিত হতে হবে এবং মূল্য পরিশোধ করার ব্যবস্থা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। আর ‘ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান’ বলতে বোঝানো হবে অনলাইনে নিজস্ব নামে বা নিজস্ব পরিচালনায় ওয়েবসাইট, মার্কেটপ্লেস বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে এককভাবে বা যৌথভাবে অনলাইনে পণ্য বা সেবা বিক্রি করবে বা বিক্রি করার জন্য প্রদর্শন বা ঘোষণা দেবে এ ধরনের নিবন্ধিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য, সেবা কেনাবেচা ও সংরক্ষণ হয় কি না, কোনো ওষুধপণ্যের মোড়কে সঠিক ব্যবহারবিধি, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছাড়া অনলাইনে বিক্রি হয় কি না, অসত্য ও অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপন বা বিক্রি প্রস্তাব দিয়ে ক্রেতা ও গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা হয় কি না-কর্তৃপক্ষ এগুলো তদারক করবে।

অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া ডিজিটাল বা গিফট কার্ড, ওয়ালেট, ক্যাশ ভাউচার করা যাবে না। করলে জরিমানা গুনতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লটারির আয়োজন করলেও গুনতে হবে বড় অঙ্কের জরিমানা।

কর্তৃপক্ষ থেকে লাইসেন্স নিয়ে দেশে ই-কমার্স বা ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না। ডিজিটাল কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (ডিবিআইডি) নিবন্ধন দেবে এ কর্তৃপক্ষ। তবে প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন বাতিল করে দেবে।

সরকারি তহবিল ও সরকারের যথোপযুক্ত মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে বিদেশি সরকার বা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে অনুদান, প্রকল্প সহায়তা, ঋণসহায়তা ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল বাণিজ্যে দেশি উদ্যোক্তাদের বাজার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বৃদ্ধি, ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন কার্যক্রম পরিদর্শন, যে কোনো অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্ত করা এবং এসব কাজে সহায়তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেবে এ কর্তৃপক্ষ। তবে অনলাইন ব্যাংকিং বা আর্থিক সেবা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবা ও কার্যক্রম; মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর আওতায় পরিচালিত কার্যক্রম; অনলাইন জুয়া, লটারি, যৌন উত্তেজক দ্রব্য অর্থাৎ ছবি, অডিও, ভিডিও, যন্ত্রপাতি প্রদর্শন ও বিক্রি এবং অনলাইন এসকর্ট সেবা ইত্যাদি এই আইনের বাইরে থাকবে।

অধ্যাদেশ পাশের পর ডিজিটাল বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ নামে একটা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। কর্তৃপক্ষ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এক জন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চার জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে এ কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাণিজ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য উপদেষ্টা বা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে প্রধান করে গঠন করা হবে উপদেষ্টা পরিষদ।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com