মাদারীপুরের সাধারণ মানুষ, রাজনীতি ও ছাত্রসমাজের নেতারা মিলিত হয়ে প্রস্তাবিত প্রশাসনিক বিভাগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, মাদারীপুর জেলা ফরিদপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত না হয়ে ঢাকার সঙ্গেই যুক্ত থাকা উচিত।
অবরোধের সময় তারা ‘মাদারীপুরের সীমানা ফরিদপুরে হবে না’, ‘ঢাকা বিভাগ ছাড়বো না, অন্য বিভাগে যাবো না’ শ্লোগান দেন। অবরোধ চলাকালীন মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হলেও যাত্রীদের কথা চিন্তা করে অবরোধকারীরা নিজেদের উদ্যোগে প্রতিবাদের পর সড়ক মুক্ত করে দেন।
মাদারীপুরবাসীর যুক্তি,
“মাদারীপুর জেলা ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে ঢাকার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হয়েছে, যা প্রশাসনিক ও জনসেবার ক্ষেত্রে ঢাকাকে কেন্দ্র করে নির্ভরযোগ্য করেছে।”
অবরোধের এক বক্তা বলেন,
“জেলার জীবনযাত্রা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সবই ঢাকাকে কেন্দ্র করে। অপরদিকে, ফরিদপুরের সঙ্গে যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে ফরিদপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্তি হলে সময়, অর্থ ও ভোগান্তি অনেক বেড়ে যাবে।”
তারা সরকারের কাছে দাবি জানান,
“স্থানীয় জনমত উপেক্ষা করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থি হবে। তাই মাদারীপুর জেলা ঢাকার সঙ্গে সংযুক্ত রেখে প্রশাসনিক ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
বিক্ষোভ মিছিলে মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহসংগঠক জহিরুল ইসলাম সানি, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুল তামিম আশিক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কিরণ আক্তার, এনসিপির জেলা সদস্য রুবেল মাহমুদ, জুলাই যোদ্ধা হাফেজ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম ও নেয়ামুল হকসহ বিভিন্ন শ্রেণির জনগণ উপস্থিত ছিলেন।