২০২৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করার জন্য বাংলাদেশের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো তাদের র্যাঙ্কিংয়ের উন্নতি করা। বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ১০ নম্বরে, তবে তাদের লক্ষ্য ৯ নম্বরে পৌঁছানো, যাতে তারা বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পারে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য হাতে এখনও যথেষ্ট সময় এবং ম্যাচ বাকি রয়েছে। তবে, গতকালের (২১ অক্টোবর) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারের ফলে টাইগারদের জন্য সেই সুযোগ ক্ষীণ হয়ে পড়েছে।
এ সিরিজে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে রিশাদ হোসেনের স্পিনে ৭৪ রানের বড় জয় পেলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে জয় নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে, বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান সংগ্রহ করে, যেখানে সৌম্য সরকার ৪৫ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ রান করেন। তবে, শাই হোপের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২১৩ রানই সমান পরিমাণে স্কোর করে ম্যাচের ফলাফল সুপার ওভারে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান সুপার ওভারে প্রথম ৫ বলে ৬ রান দিয়ে শেষ বলে বাউন্ডারি খেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০ রান সংগ্রহের সুযোগ দেন। এরপর, বাংলাদেশ ৫ বলে ৬ রান তোলার চেষ্টায় ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪ রান তুলতে পারে, ফলে সিরিজটি সমতা টেনে নেয়।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে, সিরিজের আগে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ৭৪, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছিল ৮০। বাংলাদেশকে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী হতে হতো, যাতে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পিছনে ফেলতে পারতো। তবে, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেরে যাওয়ায় এই সুযোগ আর রইলো না। এখন, ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে বাংলাদেশের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৭৬ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের থাকবে ৭৯।
আরও একটি পরিস্থিতি রয়েছে যেখানে শেষ ওয়ানডে পরিত্যক্ত হলে, দুটি দলের পয়েন্ট অপরিবর্তিত থাকবে এবং ১-১ সমতা ধরে থাকবে। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে তাদের পয়েন্ট বেড়ে ৮১ হবে এবং বাংলাদেশের পয়েন্ট ৭৩ হবে।
এখনো অনেক কিছু সম্ভব, তবে টাইগারদের সামনে এই সিরিজটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিরিজের পরবর্তী ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশের জন্য একটি ২-১ ব্যবধানে জয় গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে তাদের পয়েন্ট কিছুটা বাড়বে এবং ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী হতে পারবে। তবে, বাংলাদেশ দলকে শীর্ষস্থানীয় দলের বিপক্ষে খেলতে হলে আরো শক্তিশালী প্রস্তুতি এবং মনোযোগী পারফরম্যান্স প্রয়োজন।
এদিকে, টিম ম্যানেজমেন্ট এবং খেলোয়াড়দের কাছে এটি একটি বড় সুযোগ, যেখানে তারা সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকরী স্ট্রাটেজি গ্রহণ করলে ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাইয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারবে।