1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

ট্রাইব্যুনালে ১৫ সেনা কর্মকর্তার হাজিরা: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৫ বার দেখা হয়েছে

আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন এবং ২০০৯ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তবে তাদের কোথায় রাখা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

আজ সকালে (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ফটক দিয়ে নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। এই ১৫ জনকে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে করে সকাল সোয়া ৭টার দিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এর পরপরই, ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এবং সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেল ওই ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিন সকাল ৮টার পর এই মামলাগুলোর শুনানি শুরু হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আজ তিনটি পৃথক মামলায় ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

মামলাগুলোর মধ্যে একটি টিএফআই সেলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। এতে ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে, জেআইসি সেলে গুমের অভিযোগে ১৩ আসামির মধ্যে তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। এসব মামলায় বিচারপতি মজুমদার আরও জানান, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে দুই জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।

একই দিন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার অভিযোগে পৃথক একটি মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদেরও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। পলাতক দুই আসামির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ৫ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গ্রেপ্তার হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান এবং মেজর মো. রাফাত বিন আলমসহ আরও কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা। এর মধ্যে কিছু কর্মকর্তার অবসরপ্রাপ্ত বা ছুটিতে যাওয়ার কথাও উল্লেখযোগ্য।

এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও যুক্ত রয়েছে। তবে, পলাতক আসামিদের হাজির করতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার প্রেক্ষিতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে শুরু করে ট্রাইব্যুনাল এবং হাইকোর্ট মাজারগেট এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ভোর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মিছিল, সমাবেশ এবং অন্যান্য কার্যকলাপ প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

অন্তত তিনটি মামলায় আগামী শুনানি ২০ নভেম্বর এবং ৫ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে। এদিকে, সরকার এই মামলার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও হাজির করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।

এই ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পরবর্তী সিদ্ধান্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

  • ২৯ অক্টোবর: পলাতক আসামিদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

  • ২০ নভেম্বর: পরবর্তী শুনানির দিন

  • ৫ নভেম্বর: রামপুরা হত্যাকাণ্ডের মামলার পরবর্তী শুনানি

এ ঘটনায় আইনপ্রণেতা, রাজনৈতিক নেতা, এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরও প্রতিক্রিয়া আশা করা হচ্ছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com