আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে পুলিশ সদস্যদের বডি ক্যামেরা প্রদান, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি স্থাপন এবং ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার আইনগত দিক থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান তিনি।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “এখন আমরা নির্বাচনে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। পুলিশ সদস্যদের বডি ক্যামেরা ব্যবহার, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি স্থাপন এবং ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।” তবে, তিনি জানান, এই প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার আইনগত দিক থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আইনি পরামর্শ নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এই উদ্যোগগুলো শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নয়, নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।”
শফিকুল আলম জানান, আজ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ভোটের সুষ্ঠুতা এবং ভোট কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “এই বৈঠকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন দফতর এই বিষয়ে একযোগভাবে কাজ করবে।”
এছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এই কনস্যুলেট অফিসটি যাতে পুরোপুরি অনলাইন সার্ভিসের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন।”
সরকার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। পুলিশকে বডি ক্যামেরা দেয়া, সিসিটিভি স্থাপন এবং ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি, নতুন কনস্যুলেট অফিসের মাধ্যমে ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের কূটনৈতিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ হবে, যা দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।