বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি আবারও তার অসামান্য কৌশল ও গোলের ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। শনিবার রাতে ইন্টার মায়ামির হয়ে এমএলএস প্লে-অফে ন্যাশভিলকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ফ্লোরিডার ক্লাবটি। মেসির দুটি গোলের মধ্যে একটি ছিল তার পছন্দের হেড, যা তিনি বার্সেলোনায় খেলার সময় উল্লেখ করেছিলেন।
এদিন মাত্র একদিন আগে মায়ামির সঙ্গে নতুন করে তিন বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন মেসি। এই চুক্তির পরে, এমএলএসের নিয়মিত মৌসুমে সর্বোচ্চ ২৯ গোল করার পর, গোল্ডেন বুট পুরস্কারটি হাতে তুলে দেন লিগের কমিশনার ডন গারবার। এরপর মাঠে নামার পর, মেসি তার উড়ন্ত হেড এবং সহজ একটি গোলের মাধ্যমে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন মেসি, ১৯ মিনিটে। লুইস সুয়ারেজের ক্রস থেকে বক্সের মাঝামাঝিতে দাঁড়িয়ে শরীরের অবস্থান একটু শূন্যে রেখে অসাধারণ এক হেড দিয়ে গোলটি করেন তিনি। মায়ামি ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধে বিশ্রামে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে, ৬২ মিনিটে তাদেও আলেন্দের হেড থেকে মায়ামি তাদের লিড দ্বিগুণ করে। ইয়ান ফ্রে’র বাড়ানো ক্রস থেকে এই গোলটি আসে। এরপর ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে ২-০ ব্যবধান নিয়ে মায়ামি ম্যাচটি শেষ করতে যাচ্ছিল। তবে যোগ করা সময়ে নাটকীয়তা দেখা দেয়, ৯৬ মিনিটে মেসি আবারও গোল করেন।
মেসির দ্বিতীয় গোলটি ছিল সম্ভবত তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সহজ গোল। মায়ামি ফুটবলারের বাড়ানো বল ন্যাশভিলের গোলরক্ষক আটকে রাখতে পারেননি এবং ফসকে যাওয়া বলটি মেসি আলতোভাবে ফাঁকা জালে পাঠান। এরপর হানি মুখতার ন্যাশভিলের হয়ে একটি গোল শোধ করেন, কিন্তু তাতে আর কোনও পরিবর্তন আসেনি। মায়ামি ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে প্লে-অফের ‘বেস্ট অব থ্রি’ সিরিজের প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে গেছে।
ম্যাচে মায়ামি ৫৩ শতাংশ বল দখলে রেখে ১২টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি শট ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, ন্যাশভিল ৬টি শটের মধ্যে ৩টি শট লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়।
এটি ছিল সপ্তাহখানেকের মধ্যে ন্যাশভিলকে দ্বিতীয়বার হারানোর ঘটনা। এর আগে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মেসির হ্যাটট্রিকে ৫-২ গোলে জয় পেয়েছিল মায়ামি। মেসির অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং দলের শক্তিশালী লড়াই মায়ামিকে প্লে-অফে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।