২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকেই এক অদ্ভুত ঘটনা চলতে আছে। ভারতের অধিনায়করা টস হারতেই থাকছেন—যদিও ম্যাচের ফলাফল কিছুই হোক, তাদের টসভাগ্য বদলায় না। গত ১৮ ওয়ানডে ম্যাচে টানা হারতে থাকা ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে নতুন নাম যোগ হল শুভমন গিল। সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান সিরিজে এই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই টস হারেন তিনি। এর আগেও রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিলের নেতৃত্বে ১৫টি ম্যাচে টস হারতে থাকে ভারত।
এখন ভারত ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১৮ ম্যাচে টস হারেছে। প্রায় ২ বছর ধরে টস জেতার জন্য ভারতকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে, এবং এদিকে বিশ্বরেকর্ড হয়ে গেছে। এই পরিসংখ্যান ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা, যার ফলে ভারতের টসভাগ্যের প্রতি সকলের আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে।
যদিও টস হারলেই ভারত ম্যাচ জিতবে না, এমন কোনো কথা নেই। ভারত এখনও টস হারের পরেও ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচ জিতে গেছে। গত ১৭ ম্যাচে ভারত ১০টি ম্যাচ জিতেছে। ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-তে ভারত অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত এখন কিছুটা দ্বিধায় রয়েছে, বিশেষত দ্বিপাক্ষিক সিরিজে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফর কঠিন হতে পারে। প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির কারণে সমস্যায় পড়েছিল ভারত, আর সেই ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচেও ভালো লড়াই করেও ২ উইকেটে হেরে যায় ভারত। এখন সিডনিতে তৃতীয় ম্যাচের দিকে চোখ রয়েছে, কারণ সেখানে হারলে ভারতের হোয়াইটওয়াশ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা ৪১ বছরের মধ্যে প্রথমবার ঘটবে।
ভারতের ক্রিকেট দল ও তার দুই অভিজ্ঞ নেতা—রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি—ও এই সিরিজের দিকে নজর রাখছে। রোহিত আগের ম্যাচে রান করেছেন, কিন্তু বিরাট কোহলি চলতি সিরিজে দুটি ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন, যা তার জন্য একটি বড় বিপর্যয়। কোহলি এই সিরিজে নিজেদের খোলস থেকে বের হতে চাইছেন, এবং সবার দৃষ্টি সিডনির ম্যাচে তাদের ওপর।
ভারতের টসভাগ্য যদি এমনভাবেই চলতে থাকে, তবে তারা সম্ভবত একটি রেকর্ড গড়বে যা অনেক দিন পর্যন্ত ক্রিকেট ইতিহাসে মনে রাখা হবে। তবে টসের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভারতীয় দল মাঠে কিভাবে খেলতে পারে এবং নিজের সেরাটা দিতে পারে। পরবর্তী ম্যাচগুলোয় ভারত আরও শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে, বিশেষত সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার থেকে বাঁচতে।