লিউডের তিন সুপারস্টার সালমান খান, শাহরুখ খান ও আমির খান—এই তিন খানের প্রতি তার তীব্র সমালোচনার জন্য পরিচিত পরিচালক অভিনব কাশ্যপ। ‘দাবাং’ খ্যাত এই পরিচালক গত কয়েক বছরে একের পর এক কড়া মন্তব্য করেছেন এসব সুপারস্টারের বিরুদ্ধে, এবং এবার তার শিকার হলেন আমির খান।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনব কাশ্যপ তার তীব্র সমালোচনা করেছেন আমির খানকে নিয়ে। পরিচালক আমিরকে বলিউডের “সবচেয়ে ধূর্ত শেয়াল” এবং “এক নম্বর চোর” হিসেবে উল্লেখ করেন। তার অভিযোগ, “আমির সালমানের চেয়েও বেশি চালাক এবং ম্যানিপুলেটিভ। তিনি পরিচালকদের ওপর প্রভাব খাটানোর সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছেন।”
অভিনব আরও বলেন, “আমির যে পরিমাণে খুঁতখুঁতে এবং বিরক্তিকর, সেটা একেবারে অস্বাভাবিক। আমি তার সঙ্গে ২-৩টি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করেন—যেমন পরিচালনা থেকে সম্পাদনা পর্যন্ত।”
আবার, আমিরের বিষয়ে একটি নতুন অভিযোগ এনে কাশ্যপ বলেন, “তিনি প্রভাবশালী মানুষদের প্রলুব্ধ করেন এবং তাদের দুর্বলতা খোঁজেন।” তার এই মন্তব্যের মাধ্যমে এক ধরনের গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরেছেন, যা বলিউডের ক্ষমতাশালী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সঠিক মূল্যায়ন প্রস্তাব করে।
এটি প্রথমবার নয় যে, অভিনব কাশ্যপ বলিউডের এই তিন খানকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এর আগেও তিনি সালমান খান ও শাহরুখ খানকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন। বিশেষ করে সালমানকে নিয়ে তার মন্তব্য ছিল আরও কড়া। সেসময় তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, “সালমানের মতো একজন ক্রিমিনাল কেন জওয়ানের চরিত্রে অভিনয় করবেন?” এমনকি শাহরুখ খানকে নিয়ে বলেছিলেন, “চাই না আমার কারণে শাহরুখের সংসার ভাঙুক।”
তবে, এই তীব্র সমালোচনার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ তুলে ধরেননি পরিচালক অভিনব কাশ্যপ। তার মন্তব্যের মাধ্যমে সিনেমা শিল্পে শক্তিশালী ব্যক্তিত্বদের প্রতি তার ক্ষোভের কথা প্রকাশ পেয়েছে, কিন্তু কেন এই আক্রমণ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষত, যেহেতু আমির খান, সালমান খান এবং শাহরুখ খান বলিউডের সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী তারকাদের মধ্যে একজন, তাদের সমালোচনা বিভিন্ন বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।
বলিউডে একটি ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে, যেখানে কিছু পরিচালক অভিযোগ করেন যে, কিছু তারকা তাদের উপর অত্যধিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। বিশেষত, পরিচালকরা অনেক সময় তাঁদের সৃজনশীল স্বাধীনতা হারান এবং সিনেমার নির্মাণ প্রক্রিয়ায় তারকাদের হস্তক্ষেপের কারণে অনেক সময় হতাশ হন।
অভিনব কাশ্যপের এই সমালোচনাগুলো যদি সত্যি হয়, তবে তা বলিউডের ক্ষমতাবলীর উপর একটি গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরবে, যেখানে অভিনেতারা শুধু অভিনয় বা প্রযোজনা করেই থেমে না থেকে সিনেমার সম্পূর্ণ সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে। এই ধরনের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে পরিচালক তারকা সৃষ্টির পেছনে থাকা অদৃশ্য বলয় এবং তারকাদের ক্ষমতার দিকে আঙুল তুলছেন। তবে, চলচ্চিত্র শিল্পের এই ধরনের অন্দরমহলের সত্যতা কখনোই পুরোপুরি প্রকাশ পায় না, এবং এটি বলিউডের বিশেষ এক দিক যা আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান দাবি করে।