রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে এক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনায় পুলিশ শুভ (১৭) নামে এক যুবককে আটক করেছে।

তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজান ঘটনার বিস্তারিত নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন এসে নির্বাচন কমিশনের দিকে একটি ককটেল ছুঁড়ে মারেন। বিস্ফোরণের পর, পুলিশ টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পালিয়ে যাওয়া যুবককে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক যুবকের নাম শুভ এবং তার কাছ থেকে বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

এ বিষয়ে উপপুলিশ কমিশনার ইবনে মিজান আরও বলেন, “ঘটনাটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং নির্বাচন নিয়ে কোনও ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এটি ঘটানো হয়নি। আটক যুবকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, আমরা আরও দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “যতটুকু জানা গেছে, এটি একটি ছোট ধরনের বোমা সাদৃশ ককটেল ছিল। তবে আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট তদন্ত চালিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।”

নির্বাচন ঘনিয়ে আসার মধ্যে এই ধরনের ঘটনা জনমনে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হলেও পুলিশ এটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ও সুনির্দিষ্ট ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করছে। তাছাড়া, পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমন ঘটনা যাতে নির্বাচনের পরিবেশে প্রভাব ফেলতে না পারে, সেজন্য তারা পুরোপুরি প্রস্তুত।

এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি না হওয়ার জন্য পুলিশ ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা জনগণকে জানাচ্ছে, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি কোনো রকম পরিকল্পিত হামলা বা বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ নয়, বরং কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকের কাজ বলে মনে হচ্ছে। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

এই ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনও পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক রয়েছে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজনের জন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় রেখে কাজ করছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ একটি যুবককে আটক করেছে এবং এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যদিও নির্বাচনের আগের এমন ঘটনা জনমনে কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে, তবে পুলিশ কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে বিচ্ছিন্ন এবং গুরুত্বহীন বলে উল্লেখ করেছে এবং নির্বাচনের পরিবেশে কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।