গত সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কিছুটা পজিটিভ উন্নতি দেখালেও, লেনদেনের গতি কমে গেছে। বাজার মূলধন বাড়লেও, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে এবং লেনদেনের পরিমাণেও নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়ে ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬ হাজার ৫৮ কোটি টাকা বা ০.৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছিল ১৭ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা। গত দুই সপ্তাহে বাজার মূলধন প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা কমলেও, এবার আবার কিছুটা উত্থান দেখা গেছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ৩০.৪৭ পয়েন্ট বা ০.৬০ শতাংশ। এর আগে কয়েকটি সপ্তাহে সূচক কমলেও, এবার তা কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। অন্যদিকে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক এবং ডিএসই-৩০ সূচক উভয়ই সপ্তাহজুড়ে বাড়িয়েছে, যা কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বাজারে।
তবে, বাজারের মূলধন বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতি কমেছে। গত সপ্তাহে গড়ে দৈনিক লেনদেন হয়েছে ৪২৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ৫২২ কোটি ২২ লাখ টাকার তুলনায় ৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা কমে গেছে। এই পতন ১৮.০৯ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ওরিয়ন ইনফিউশন কোম্পানির শেয়ার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ২১ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ৪.৯৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গড়ে ১৯ কোটি ৪ লাখ টাকার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট এলায়েন্স পোর্ট।
যদিও বাজারে বেশ কিছু নেতিবাচক সংকেত রয়েছে, তবে ডিএসইর সূচক ও বাজার মূলধন বৃদ্ধির মাধ্যমে কিছুটা ইতিবাচক দিকও দেখা যাচ্ছে। তবে, লেনদেনের পরিমাণে হ্রাস এবং অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমার কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে।
এই সপ্তাহে শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হবে, তা দেখার জন্য আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।