গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের পথে লিভারপুল মাত্র চারটি ম্যাচ হেরেছিল। কিন্তু এই মৌসুমে তাদের অবস্থা অনেকটা বিপরীত। প্রথম পাঁচ ম্যাচে পাঁচটি জয় পাওয়ার পর, লিভারপুল এবার টানা চার ম্যাচ হারেছে। গতকাল, ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে ৩-২ ব্যবধানে হারের পর, কোচ আর্নে স্লট দলের পারফরম্যান্সকে “সবচেয়ে বাজে” বলে মন্তব্য করেছেন।
ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হারের পর লিভারপুল কোচ স্লট বলেন, “চার হারের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল। প্রথমার্ধ এবং দ্বিতীয়ার্ধের কিছু অংশে আমরা স্বাভাবিক খেলাও খেলতে পারিনি। তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ডুয়েল জিতেছে এবং সেই কারণেই আমরা ম্যাচে পিছিয়ে পড়েছি।”
ম্যাচের শুরু থেকেই লিভারপুল কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। ৫ মিনিটে ডাংগো ওয়াতারা কর্নার থেকে গোল করে ব্রেন্টফোর্ডকে ১-০ তে এগিয়ে দেন। এরপর লিভারপুল বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও সমতা ফেরাতে পারেনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে, কেভিন শাড লিভারপুলের গোলরক্ষক জর্জি মামারদাশভিলি কে পরাস্ত করে গোল করে ২-০ তে এগিয়ে দেন ব্রেন্টফোর্ডকে। তবে যোগ করা সময়ে মিলোস কেরকেজ একটি গোল করে ব্যবধান ২-১ করে দেন।
বিরতির পর ৬০ মিনিটে, ইগর থিয়াগো পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রেন্টফোর্ডের ব্যবধান ৩-১ করে দেন। লিভারপুল শেষ মুহূর্তে কিছুটা চেষ্টা করলেও, ৮৯ মিনিটে মোহামেদ সালাহ গোল করে ব্যবধান ৩-২ করার পর আর ম্যাচে ফিরে আসতে পারেনি।
এই হারের পর, লিভারপুল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মতো টানা চার ম্যাচ হারল। বর্তমানে লিভারপুলের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের ৬ নম্বরে, ৯ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। অন্যদিকে, আর্সেনাল শীর্ষে রয়েছে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে, ৮ ম্যাচ খেলে।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে লিভারপুল দ্বিতীয় বার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে যেখানে তারা টানা চার ম্যাচে হার দেখেছে। এর আগে ২০১৬-১৭ মৌসুমে লেস্টার সিটি এবং ২০২০-২১ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি টানা চার ম্যাচ হারেছিল, কিন্তু তাদের মধ্যে লিভারপুলই একমাত্র দল যারা দুবার এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে। তারা ওল্ড ট্রাফোর্ডে ব্রাইটন কে ৪-২ গোলে পরাজিত করেছে। এর ফলে ইউনাইটেড ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছে।
লিভারপুলের জন্য চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেছে এবং তাদের সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। কোচ স্লট অবশ্য মনে করেন যে দলের খেলা এখনো কিছুটা গোলমেলে। এভাবে পারফরম্যান্স না থাকলে, পরবর্তী ম্যাচগুলোতে তাদের পুনরায় নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে হবে।