জাতীয় ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশনের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামী’র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম দাবি করেছেন, জাতীয় সনদ অনুযায়ী আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে। তিনি সতর্ক করেন, যদি নির্বাচনের আগে গণভোট না হয়, তাহলে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসি’র সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন মাওলানা আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, ২৫টি রাজনৈতিক দল ‘জুলাই জাতীয় সনদে’ স্বাক্ষর করেছে এবং এই সনদের অধীনে দ্রুত গণভোটের আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন। জামায়াতের নেতা আরো স্পষ্ট করে জানান, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একদিনে আয়োজন করা উচিত নয়। গণভোট অবশ্যই নভেম্বর মাসের মধ্যে সম্পন্ন হতে হবে।
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’। জামায়াতে ইসলামী তার বাস্তবায়ন নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং গণভোটের আয়োজনের দাবিতে দৃঢ় থাকবে। তিনি বলেন, ‘‘যদি গণভোট আগে না হয়, তবে জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।’’
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংশোধিত আরপিও (জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল সংশোধন আনার দাবি তুললেও জামায়াতে ইসলামী আরপিওর বর্তমান অবস্থা 그대로 রাখতে পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মাওলানা আব্দুল হালিম জানান, কিছু দল আরপিও সংশোধন করতে চাইছে, কিন্তু জামায়াত মনে করে এটি অপরিবর্তিত থাকতে হবে।
এদিকে, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে বেশ গুরুত্বারোপ করেছে। তিনি জানান, আট দলের একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বৈঠকে সিইসি তাদের দাবি শুনেছেন এবং বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মাওলানা আব্দুল হালিম আরো বলেন, ‘‘যারা ‘জুলাই চেতনা’ বা জাতীয় সনদের বিপরীতে কাজ করবে, তারা জনগণের কাছে উপেক্ষিত হবে।’’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জামায়াতের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবি বাস্তবায়িত হবে এবং গণভোটের আয়োজন জাতীয় নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করবে।