খেলাধুলা ডেস্ক
আসন্ন এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স চ্যাম্পিয়নশিপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিকেট দল—ভারত ও পাকিস্তান। ১৪ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে একই গ্রুপে পড়েছে দল দুটি। ফলে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দর্শকদের জন্য থাকছে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের উত্তেজনা।
আগে ‘ইমার্জিং এশিয়া কাপ’ নামে পরিচিত এই প্রতিযোগিতাটি এবার নতুন নামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট আটটি দল অংশ নিচ্ছে টুর্নামেন্টে—পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ওমান এবং হংকং। দলগুলোকে দুইটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, ইউএই এবং ওমান; অন্যদিকে গ্রুপ ‘বি’-তে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং হংকং।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো—পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান—তাদের ‘এ’ দল পাঠাবে। অপরদিকে ইউএই, হংকং ও ওমান পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে অংশ নেবে।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য হলো উদীয়মান ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় অভিজ্ঞতা দেওয়া। তাই অংশগ্রহণকারী দেশগুলো মূলত তরুণ ও অভিজ্ঞতার সীমিত খেলোয়াড়দের নিয়েই দল গঠন করবে।
টুর্নামেন্টের ফরম্যাটে এবারে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। পূর্ববর্তী এশিয়া কাপে যেখানে ‘সুপার ফোর’ ধাপ ছিল, রাইজিং স্টার্স চ্যাম্পিয়নশিপে সেই ধাপটি থাকবে না। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সরাসরি সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে। ফলে গ্রুপ পর্বে একবার মুখোমুখি হওয়ার পর, পাকিস্তান ও ভারত কেবল ফাইনালে পৌঁছালে আবারও একে অপরের বিপক্ষে খেলতে পারবে।
গত মাসে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তান তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল—গ্রুপ পর্ব, সুপার ফোর এবং ফাইনালসহ। এবারের টুর্নামেন্টে সুপার ফোর পর্ব না থাকায় তাদের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক দুই ম্যাচে সীমিত থাকবে।
বিশ্লেষকদের মতে, রাইজিং স্টার্স চ্যাম্পিয়নশিপ এশিয়ার তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক তারকাদের গড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হবে। বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তাদের তরুণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের সুযোগ পাবে এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।
কাতারে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আয়োজক দেশটি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। ম্যাচগুলো দোহা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামসহ একাধিক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
আসন্ন আসরে বাংলাদেশ দলও প্রতিযোগিতামূলক স্কোয়াড নিয়ে অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের নেতৃত্বে থাকতে পারেন ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিজ্ঞ কোনো ক্রিকেটার, যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করা হয়নি। দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
টুর্নামেন্টের সূচি অনুযায়ী উদ্বোধনী দিনেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ঐতিহাসিক এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা বরাবরই বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করে, ফলে ম্যাচটি ঘিরে দোহায় দর্শকদের ব্যাপক আগ্রহের প্রত্যাশা করছে আয়োজক কমিটি।