রাজনীতি ডেস্ক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জুলাই সনদ ইস্যুতে যদি বিএনপি প্রতিবাদের পথ বেছে নেয়, তবে বর্তমান সরকার টিকতে পারবে না। তিনি দাবি করেন, বিএনপি এখনো সরকারের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করছে এবং ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
রোববার (২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জুলাই সনদে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে নানা ধরনের রদবদল ও ত্রুটি রয়েছে, যা দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। তাঁর ভাষায়, “এই ইস্যুতে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে, জনগণ তা বুঝে ফেলেছে। অথচ প্রধান উপদেষ্টা ও সরকার বিষয়টি নিয়ে নীরব রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি মাঠে নামি, তাতে সরকার টিকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে আমরা এখনো শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার পক্ষে।” গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারকে এখনই সঠিক ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিএনপিকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতায় বিএনপির আসার জোরালো সম্ভাবনা দেখেই অনেকেই দলটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তাঁর দাবি, বিএনপি কোনো দলকেই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করে না, বরং জনগণের আস্থা অর্জনই তাদের মূল লক্ষ্য।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান শান্তিপূর্ণ উপায়ে সম্ভব। তিনি জানান, দলটি এখনো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে আগ্রহী, যদি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান, কোষাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী হাসান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. এ কে এম খালেকুজ্জামান দিপু এবং দপ্তর সম্পাদক মো. এরফান আহমেদ সোহেলসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জুলাই সনদ ইস্যু ঘিরে বিএনপির অবস্থান ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। দলটি যদি মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখার প্রচেষ্টায় রয়েছে বলে জানা গেছে।