আইন আদালত ডেস্ক
রাজসাক্ষী হয়ে গণহত্যার দায়ে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্যানেল ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পাঠ শুরু করেন। রায়ের পুরো প্যানেলটি পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদা, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশটি দুই ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় নিয়ে পড়া শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে রায় ঘোষণা করা হয়।
এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক রয়েছেন, তবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছিল, এবং তিনি গণহত্যার ঘটনা সম্পর্কে তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার রায় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে। আদালত এই মামলায় গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি আইনগত এবং রাজনৈতিক গুরুত্বের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন।
গণহত্যার অভিযোগের অন্তর্গত ঘটনাগুলোর মধ্যে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা অন্তর্ভুক্ত, যা দেশের ইতিহাসে অন্যতম অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রবল আন্দোলন রয়েছে।
এ মামলার পরবর্তী পর্বে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সুরক্ষায় এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা আরও তীব্র হতে পারে।