1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
ইরাকের বাগদাদে ইউরোপীয় বিমান পুনরায় অবতরণ শুরু তুরস্ক কৃষ্ণসাগর থেকে আসা অচল ড্রোন ভূপাতিত করেছে গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৫ জনের মরদেহ উদ্ধার মহান বিজয় দিবস স্বাধীনতার স্মৃতি ও কৃতজ্ঞতার প্রতিফলন : অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া বেঙ্গালুরুতে শিল্পা শেঠির মালিকানাধীন রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নতুন ধারার রাজনীতির ঘোষণা দিল জামায়াতে ইসলামী, চার স্তম্ভে রাষ্ট্র গঠনের কথা আমিরের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতাদের বক্তব্যে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধিতে ডলারের উদ্বৃত্ত, ১৪ কোটি ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিএনপির মহাসচিবের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা ও শপথ বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ৫৪ প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করে

আচরণবিধি লঙ্ঘনে জিরো টলারেন্স, সরকারি কর্মকর্তাদের ভোটের ব্যবস্থা

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১০ বার দেখা হয়েছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছেন। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনাররা আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধ, নির্বাচনী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তাদের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেছেন।

আজ (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপের প্রথম সেশনে সিইসি বলেন, “অতীতের রেকর্ড অনুযায়ী, নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা সাধারণত সময়মতো শুরু হয়ে থাকে, তবে নানা কারণে এবার কিছুটা দেরি হয়েছে।” তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য হলো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন, এবং এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অপরিহার্য।

এ ছাড়া, সিইসি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করার কথা জানান। তিনি বলেন, “আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করেছি যেন কর্মীদের বিষয়ে আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে অবহিত করা হয়।”

নির্বাচন কমিশনার আনওয়ারুল ইসলাম বলেন, “ইসি কোনো পরিস্থিতিতেই আচরণবিধি লঙ্ঘন সহ্য করবে না। নির্বাচনের সময় আচরণবিধি পরিপন্থি যেকোনো কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।” তিনি আরও জানান, নির্বাচনে ইসি অবজারভেশন টিমের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।

নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমেদ বলেন, “এককভাবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সক্ষম নয়। আমাদের সবাইকে মিলিতভাবে কাজ করতে হবে, যাতে কেন্দ্র দখলের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।” তিনি সকল দলের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা নির্বাচনে সহযোগিতার হাত বাড়ায়।

এছাড়া, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, “প্রত্যেকটি আসনে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণা করার ব্যবস্থা করা হবে।” তিনি মসজিদ, মন্দির, গির্জা, সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল এবং কলেজের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেন। তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার রোধ করার জন্য আলাদা সেল গঠন করা হবে বলে তিনি জানান।

রাজনৈতিক দলগুলোর মূল প্রস্তাবনা

সংলাপে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাবনা উঠে আসে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করেছে এবং ৫ আগস্টে লুট হওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধার করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বিকল্পধারা অভিযোগ করে, বাংলাদেশের বড় দুটি দল আচরণবিধি মানে না এবং তাদের প্রার্থিতা বাতিল করার দাবি জানিয়েছে। তারা নির্বাচনী এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও দিয়েছে।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে। তারা নির্বাচনী এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে এবং ফেক চেকিং ও এআই ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) প্রার্থী নমিনেশন পেপার জমা দেওয়ার পর নির্বাচনী এজেন্টদের তালিকা জমা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে অবৈধ ও কালো টাকার ব্যবহার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার রোধ করার দাবি জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট দাবি জানিয়েছে, সকল প্রার্থীকে এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণা করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়াতে স্বরাষ্ট্র এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরাসরি ইসির অধীনে আনতে হবে। এছাড়া, তারা যানবাহনে নির্বাচনী প্রচারণা বা শোডাউন নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও করেছে।

এছাড়া, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাস্তবায়নে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে তাদের বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে, যা পরবর্তী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com