1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

নয়াদিল্লিতে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা: এনআইএ-এর তদন্ত ও গ্রেপ্তার

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে গত ১০ নভেম্বর সংঘটিত বিস্ফোরণকে ‘আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। এই প্রথমবার কোনো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এই হামলাকে আত্মঘাতী হামলা হিসেবে ঘোষণা করলো।

এনআইএ-এর তদন্তে জানা যায়, বিস্ফোরণের ঘটনায় এক ব্যক্তি, উমর নবী, গাড়ি চালিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বিস্ফোরণ ঘটে। হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান উমর নবী, আর নিহতদের সংখ্যা ১৩ জনে পৌঁছায়। এছাড়া অন্তত ৩০ জন আহত হন। তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ছিল একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), যা গাড়ির ভেতরে ফিট করা হয়েছিল। বিস্ফোরণটি ঘটে লাল কিল্লার মেট্রো স্টেশনের কাছে, একটি পর্যটন এলাকাতে।

এনআইএ-এর প্রাথমিক তদন্তে পুলওয়ামার বাসিন্দা উমর নবীর ভূমিকা স্পষ্ট হওয়ায়, তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তার দুই ভাই ও মা’-কে আটক করা হয়েছে। উমরের কাজের স্থান ছিল ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যেখানে তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এনআইএ গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করেছে আমির রাশিদ আলী নামক একজন ব্যক্তিকে, যিনি হামলার পরিকল্পনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর, আমির রাশিদ আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, ১০ নভেম্বরের বিস্ফোরণ ছিল একটি আত্মঘাতী হামলা, এবং তিনি হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি তার মালিকানাধীন ছিল এবং গাড়িটি তার নামেই নিবন্ধিত ছিল।

এনআইএ জানায়, হামলার জন্য আমির রাশিদ আলী উমর নবীকে গাড়ি কেনা থেকে শুরু করে বোমা লাগানোর প্রতিটি কাজে সহযোগিতা করেছেন। এমনকি হামলার দিনও উমর নবীকে সহায়তা করতে তিনি গাড়িতে ছিলেন, তবে বিস্ফোরণের আগমুহূর্তে তিনি গাড়ি থেকে নেমে যান।

এনআইএ আরও জানিয়েছে, এই হামলার সাথে আরও কিছু ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে এবং হামলাকারীদের নেটওয়ার্ক অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। তদন্ত সংস্থা এই ঘটনায় বিদেশি সম্পর্ক এবং হামলাকারীদের অর্থের উৎসও খতিয়ে দেখছে। এনআইএ-এর বিভিন্ন তদন্ত টিম কাজ করছে, যাতে হামলার নেপথ্যে থাকা পুরো চক্রটি উন্মোচিত হয়।

এ ঘটনায় ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, বিশেষত এই ধরনের আত্মঘাতী হামলা ভারতের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com