দেশমিডিয়া ডেস্ক
ডিবি পুলিশ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাসা থেকে দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ ঘটনায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় তার সঙ্গে যুক্ত করে একটি ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বিষয়টি আসলে এনইআইআর বাস্তবায়ন ও অবৈধ হ্যান্ডসেট নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত, এবং তার সঙ্গে জড়িত করার প্রচেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে এনইআইআর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অবৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে বিটিআরসিও সংশ্লিষ্ট সংক্ষুব্ধ পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এ প্রেক্ষাপটে একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে অনলাইন নিউজ পোর্টালে তার ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা তিনি অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছে, তার সঙ্গে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সোহেলকে পাঁচজন ডিবি কর্মকর্তা বাসা থেকে নিয়ে যান। তার স্ত্রী সুমাইয়া সীমা অভিযোগ করেন, এই পাঁচজনের একজন নিজেকে আশরাফুল পরিচয় দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, মিজানুর রহমান সোহেলকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধানের সঙ্গে কথা বলানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর তাকে ফেরত দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলকে তাদের পেশাগত সংস্থার অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রাতের জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার সকালেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ ঘটনায় আরও বলেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত বা পেশাগত সম্পর্ক নেই। এর পরও এমন প্রোপাগান্ডা প্রকাশের মাধ্যমে মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভুলভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল তথ্য জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে না।
এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে সচেতন নাগরিক ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যে, সংবাদ পরিবেশে ভিত্তিহীন তথ্য ও ব্যক্তির ওপর অভিযোগের গুরুত্ব এবং প্রভাব জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির ক্ষমতা রাখে।