শিক্ষা ডেস্ক
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সাম্প্রতিক ভূমিকম্প এবং পরবর্তী আফটারশককে (ভূমিকম্পোত্তর কম্পন) বিবেচনায় নিরাপত্তার স্বার্থে সমস্ত ক্লাস এবং চলমান পর্ব মধ্য পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে লতিফ ছাত্রাবাস, ড. কাজী মোতাহার হোসেন ছাত্রাবাস, জহির রায়হান ছাত্রাবাস এবং ছাত্রীনিবাসসহ সব আবাসিক হল সাময়িকভাবে খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতের সময় অধ্যক্ষ কর্তৃক সই করা একটি অফিস আদেশে এই নির্দেশনা জানানো হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, আবাসিক ছাত্রাবাসগুলোকে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে খালি করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। এ কারণে ইনস্টিটিউটের প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ ও অষ্টম পর্বের চলমান পর্ব মধ্য পরীক্ষা এবং শ্রেণিকাজ আগামী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে। শিক্ষার্থীদের রাত ৯টার মধ্যেই হল ত্যাগ করতে হবে।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, শিফট, ছাত্রাবাস তত্ত্বাবধায়ক, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ভূমিকম্প এবং আফটারশক চলাকালীন সময়ে উচ্চ ভবন এবং আবাসিক হোস্টেলগুলোতে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী হল খালি করা একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ। এতে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা বা বিপদের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী দৈনিকভাবে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস এবং পরীক্ষা উপভোগ করে থাকেন। ভূমিকম্পজনিত পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং অবকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই স্থগিতাদেশ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাগত সূচীতে সাময়িক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রাথমিকভাবে অগ্রাধিকার পাবে। কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থীদের বিকল্প পরিকল্পনা এবং পরীক্ষা পুনঃনির্ধারণের বিষয়টি ভাবছে।
এছাড়াও, আবাসিক হল খালি রাখার ফলে ইনস্টিটিউটের নিরাপত্তা ও তত্ত্বাবধানকারী স্টাফরা জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হবেন। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হলে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কমে যাবে।
এভাবে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সাম্প্রতিক ভূমিকম্প এবং আফটারশকের প্রভাব মোকাবেলায় নেওয়া এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মচারীদের জন্য একটি সতর্কতা সংকেত হিসাবেও গণ্য হচ্ছে।