1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে শিশু সাজিদের মৃত্যু, দীর্ঘ উদ্ধার অভিযানের অবসান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের ইচ্ছা, নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন অব্যাহত থাকবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হিসেবে দেখছে বিএনপি সরকারের উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন বিএনপির কর্মশালায় নির্বাচন প্রস্তুতি জোরদারের আহ্বান গণতান্ত্রিক চর্চার বিকাশে চলমান সংস্কারকে গুরুত্ব দিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনসভা আয়োজনের নিয়মাবলি প্রকাশ ২৪তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী উদ্বোধন, শিল্পচর্চায় স্বকীয়তা অর্জনের ওপর জোর

বাংলাদেশের বাজারে রেনিটিডিন নিষিদ্ধ

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ১৫৯ বার দেখা হয়েছে

গ্যাসট্রিকসহ পেটের পীড়ার বিভিন্ন উপসর্গের চিকিৎসায় বহুল প্রচলিত ওষুধ রেনিটিডিন বাংলাদেশের বাজারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রবিবার রাজধানীর মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে দেশের বাজারে রেনিটিডিন ওষুধের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ ব্যাপারে জাতীয় দৈনিকে সোমবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি হবে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ শিল্প সমিতির নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে রেনিটিডিন ওষুধের কাঁচামাল আমদানি উৎপাদন ও বিক্রির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের ৩১টি ওষুধ কোম্পানি প্রতিবেশী দেশ ভারতের ফারাক্কা নামক একটি কোম্পানি থেকে রেনিটিডিন ট্যাবলেটের কাঁচামাল আমদানি করে। এছাড়া ডক্টর রেড্ডি নামক আরেকটি কোম্পানির কাঁচামাল আমদানির জন্য ব্ল্যাক লিস্টে তালিকাভুক্ত থাকলেও সেখান থেকে এখনো আমদানি করা হয়নি। জনস্বার্থ বিবেচনায় এ দুটি কোম্পানি থেকে রেনিটিডিনের কাঁচামাল আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া ওই কোম্পানি থেকে আমদানিকৃত কাঁচামাল দিয়ে নতুন করে কোনো রেনিটিডিন উৎপাদন করা যাবে না। শুধু তাই নয়, বাজার থেকে কোম্পানিগুলো স্ব-উদ্যোগে রেনিটিডিন ট্যাবলেট প্রত্যাহার করে নেবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতারা জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বপ্রণোদিতভাবে বাজার থেকে রেনিটিডিন প্রত্যাহার, নতুন করে কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদন না করার ব্যাপারে সর্বসম্মত হন।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও জানান, বৈঠকে জিএসকে কোম্পানির প্রতিনিধিও ছিল। তারাও বাজার থেকে রেনিটিডিন তুলে নেবে।

তিনি বলেন, রেনিটিডিন কাঁচামাল আমদানি উৎপাদন ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা সাময়িক। কোম্পানিগুলো বাজার থেকে রেনিটিডিন নমুনা সংগ্রহ করে নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে ক্ষতিকর কিছু আছে কিনা তা দেখে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে অবহিত করবে। এছাড়া অধিদপ্তর নিজস্ব উদ্যোগে রেনিটিডিন ট্যাবলেটের গুণগত মান পরীক্ষা করবে।

রেনিটিডিনে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত তা নিষিদ্ধ করে বাজার থেকে তুলে নিয়েছে। আরও কয়েকটি দেশ এ বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৫ শতাংশ রোগী এই গ্রুপের ওষুধ সেবন করেন।

১৯৭৬ সালে রেনিটিডিন আবিষ্কার করে জিএসকে। ১৯৮১ সালে প্রথম বাজারে ছাড়ে ওষুধটি। জিএসকে বাংলাদেশেও এ ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করেছে। বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের নিউটেক, একমি ল্যাবরেটরিজের রেনিডিন, এসেন্সিয়াল ড্রাগসসহ কয়েকটি কোম্পানির রেনিটিডিন, অপসোনিনের রেনিটিড এ গ্রুপের ওষুধ। আরও বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি কোম্পানি বিভিন্ন নামে এ গ্রুপের ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করে থাকে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com