1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

রাশিয়ার দুই ট্যাংকারে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর ড্রোন হামলা

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৪ বার দেখা হয়েছে

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার দুটি ট্যাংকার জাহাজে নাভাল ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের নৌবাহিনী। গতকাল পরিচালিত এ অভিযানে ‘কাইরোস’ এবং ‘ভিরাট’ নামের জাহাজ দুটির গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন যে হামলার পর উভয় জাহাজই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি চলমান রুশ–ইউক্রেন যুদ্ধের সামুদ্রিক ফ্রন্টে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে জানান, নাভাল ড্রোন ব্যবহার করে ট্যাংকার দুটিতে আঘাত হানা হয় যখন সেগুলো কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী নভোরোসিয়াস্ক বন্দরের দিকে যাত্রায় ছিল। যদিও জাহাজগুলো খালি ছিল, তবে সেগুলো বিদেশগামী তেল পরিবহনের প্রস্তুতিমূলক রুটিন অভিযানে অংশ নিচ্ছিল। কর্মকর্তার দাবি অনুযায়ী, রাশিয়া জ্বালানি তেল রপ্তানির মাধ্যমে যুদ্ধের অর্থায়ন করছে এবং এ কারণে রুশ জ্বালানি খাত সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে।

হামলায় ব্যবহৃত নাভাল ড্রোন সম্পর্কে সামরিক বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, এসব ড্রোন বিস্ফোরকবাহী, দূরনিয়ন্ত্রিত এবং চালকবিহীন নৌযান—যা সাধারণত শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ বা বড় আকারের বাণিজ্যিক জাহাজে আঘাত হানতে ব্যবহৃত হয়। গত দুই বছরে ইউক্রেন এসব ড্রোন প্রযুক্তি আরও ব্যাপকভাবে সামরিক অভিযানে ব্যবহার করছে, বিশেষ করে কৃষ্ণ সাগর এলাকায় রুশ নৌবহরের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশলের অংশ হিসেবে।

ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা বলেন, হামলার ভিডিওফুটেজ তাদের কাছে রয়েছে, যা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে দুই জাহাজই কাঠামোগতভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর মতে, এ ক্ষয়ক্ষতির কারণে রাশিয়ার তেল পরিবহন সক্ষমতায় তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাঘাত ঘটবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ তেল পরিবহনের গতিপথ ব্যাহত হতে পারে। তিনি আরও জানান, গত কয়েক মাস ধরে রাশিয়ার জ্বালানিভিত্তিক আয়ের উৎসগুলোর ওপর ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানোর কৌশল গ্রহণ করেছে ইউক্রেন।

জানা গেছে, কাইরোস এবং ভিরাট—উভয় জাহাজই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত। এসব জাহাজ রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানিতে ভূমিকা রাখায় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে। কৃষ্ণ সাগরে সাম্প্রতিক হামলার ফলে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত এসব জাহাজের কার্যক্রম আরও বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।

ঘটনার পর কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী দেশ তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি জাহাজের ক্রুদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির কোস্টগার্ড। তুরস্ক আরও জানিয়েছে, এ হামলা কৃষ্ণ সাগরের বাণিজ্যিক নৌপথে নতুন ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে, যা আঞ্চলিক বাণিজ্যিক চলাচলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। কৃষ্ণ সাগরকে ঘিরে বাণিজ্য ও জ্বালানি পরিবহন আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, ফলে এ ধরনের হামলা ভবিষ্যতে নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

তুরস্ক ছাড়াও আয়তন ও আঞ্চলিকভাবে কৃষ্ণ সাগর-নির্ভর দেশ কাজাখস্তান এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। কাজাখস্তান উল্লেখ করেছে যে সমুদ্রপথে বাণিজ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখা আঞ্চলিক অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক জ্বালানি পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির উদ্বেগ, এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকলে কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে বাণিজ্যিক পরিবহনের ওপর চাপ বাড়বে এবং জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।

এদিকে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো এ ঘটনার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। সামুদ্রিক হামালা সংক্রান্ত এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মস্কো কী অবস্থান নেয়—তা আন্তর্জাতিক মহলের নজরে রয়েছে। রাশিয়া যদি কৃষ্ণ সাগর এলাকায় সামরিক প্রতিক্রিয়া বাড়ায়, তবে অঞ্চলটির সামুদ্রিক পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সামগ্রিকভাবে, কৃষ্ণ সাগরে এ ধরনের হামলা চলমান রুশ–ইউক্রেন সংঘাতের সামরিক রূপান্তরকে আরও তীব্র করে তুলছে। এ ঘটনায় আঞ্চলিক বাণিজ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি রপ্তানি পথ এবং সামুদ্রিক চলাচল নতুন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে, যার প্রভাব আন্তর্জাতিক বাজারেও পড়তে পারে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com