বিনোদন ডেস্ক
ঢাকা: মুক্তির পর থেকেই প্রেক্ষাগৃহে দর্শক এবং সমালোচকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে ধানুশ ও কৃতি শ্যাননের অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘তেরে ইশ্ক মেঁ’। শুক্রবার দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর ছবিটি দ্বিতীয় দিনেও ঊর্ধ্বমুখী বাণিজ্যিক প্রবণতা বজায় রেখেছে।
স্যাকনিল্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার ছবিটি আয় করেছে ১৭ কোটি রুপি, যা প্রথম দিনের ১৬ কোটি রুপির আয়ের চেয়ে সামান্য বেশি। মুক্তির প্রথম দুই দিনে সিনেমার মোট কালেকশন দাঁড়িয়েছে ৩৩ কোটি রুপি। এই আয় তাকে কঙ্গনা রানাউতের ‘ইমারজেন্সি’র লাইফটাইম আয়ের ২৩.৭৫ কোটি রুপিকে ছাড়িয়ে যেতে সহায়তা করেছে। তবে শহীদ কাপুরের ‘দেবা’-র ৫৫.৮ কোটি রুপি আয়ের সঙ্গে সমান করতে হলে সিনেমাটিকে এখনও আরও কয়েকটি সপ্তাহ ধরে ভালো ব্যবসা চালিয়ে যেতে হবে।
‘তেরে ইশ্ক মেঁ’-এর গল্প কেন্দ্র করে ধানুশ অভিনীত শংকর এবং কৃতি শ্যাননের মুক্তির চরিত্রের মধ্যে প্রেম ও আবেগঘন সম্পর্ক। মুক্তি একজন তরুণী, যিনি শংকরের প্রতি আকৃষ্ট হন। হঠাৎ ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাপ্রবাহ তাদের আলাদা করে দেয়। শংকর এরপর প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেয় এবং তার হারানো ভালোবাসার যন্ত্রণার প্রভাবে চরিত্রটি আবেগপ্রবণ ও ধ্বংসাত্মক পথের দিকে চলে যায়। এই তীব্র আবেগ ও উত্তেজনাপূর্ণ সংঘর্ষই গল্পের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে।
সিনেমাটির নির্মাণ করেছে গুলশান কুমার, টি-সিরিজ ও কালার ইয়েলো প্রোডাকশনস। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন আনন্দ এল রাই। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য, ভিজ্যুয়াল এফেক্ট এবং সংলাপের পরিকল্পনা দর্শক ও সমালোচকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
বাণিজ্যিক দিক থেকে ‘তেরে ইশ্ক মেঁ’-এর শুরুতে সাড়া পাওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, চলমান সপ্তাহে এবং সপ্তাহান্তে আরও উল্লেখযোগ্য ব্যবসা করতে সক্ষম হবে সিনেমাটি। এর ফলে বর্তমান বছরের চলমান সিনেমা মুক্তির তালিকায় এটি অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক সফল চলচ্চিত্র হিসেবে স্থান পেতে পারে।
ছবিটির সাফল্য কেবলমাত্র বক্স অফিস আয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; মূল চরিত্রগুলোর আবেগঘন সম্পর্ক এবং দর্শককে সংযুক্ত করার ক্ষমতা সিনেমাটিকে আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রে রাখছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এবং মেলোম্যানদের মধ্যে এই গল্পের উত্তেজনা এবং আবেগপ্রবণ চরিত্রগুলি ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে।
‘তেরে ইশ্ক মেঁ’-এর প্রথম দুই দিনের এই বাণিজ্যিক সাফল্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। সফল ব্যবসা চালিয়ে গেলে আগামী মাসগুলোতে ছবির প্রদর্শন সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, যা প্রেক্ষাগৃহ এবং বিনোদন খাতে অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে।
ছবির সঙ্গে যুক্ত প্রধান প্রযোজক এবং পরিচালকের অভিমত অনুযায়ী, দর্শক প্রতিক্রিয়া ও বাণিজ্যিক সাফল্যকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতের প্রচারণা ও প্রদর্শন নীতি নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে দেশের সিনেমা শিল্পে স্থানীয় প্রযোজনা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে।
প্রেক্ষাগৃহে ইতিবাচক সাড়া এবং ক্রমবর্ধমান আয়ের এই ধারা ‘তেরে ইশ্ক মেঁ’-কে বছরের অন্যতম সফল সিনেমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, যা বাণিজ্যিক ও সমালোচনামূলক দিক থেকে দু’পাশেই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।