আইন আদালত ডেস্ক
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে শনিবার (২৯ নভেম্বর) এক হাজার ১৬৭টি মামলা করেছে। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ রবিবার (৩০ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। অভিযান চলাকালে একাধিক যানবাহন ডাম্পিং এবং রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপির ট্রাফিক সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন ট্রাফিক বিভাগের বরাতে মামলা এবং অভিযান-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগে ১০টি বাস, ১টি ট্রাক, ২৫টি কাভার্ডভ্যান, ৫০টি সিএনজি এবং ১২৮টি মোটরসাইকেলসহ মোট ২৬৫টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগে ১৩টি বাস, ১৪টি ট্রাক, ৮টি কাভার্ডভ্যান, ১৪টি সিএনজি এবং ২৩টি মোটরসাইকেলসহ ৮৯টি মামলা করা হয়েছে।
ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগে ৬টি বাস, ৬টি ট্রাক, ১৮টি কাভার্ডভ্যান, ৬১টি সিএনজি এবং ১১০টি মোটরসাইকেলসহ ২৪৮টি মামলা করা হয়েছে। ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগে ১০টি বাস, ৩টি ট্রাক, ১১টি কাভার্ডভ্যান, ১০টি সিএনজি এবং ২৮টি মোটরসাইকেলসহ ৭৮টি মামলা হয়েছে। ট্রাফিক-গুলশান বিভাগে ৯টি বাস, ৩টি ট্রাক, ৪টি কাভার্ডভ্যান, ১১টি সিএনজি এবং ৭৮টি মোটরসাইকেলসহ ১৪২টি মামলা করা হয়েছে।
উত্তরা ট্রাফিক বিভাগে ১০টি বাস, ৩টি ট্রাক, ৫১০টি কাভার্ডভ্যান, ২৩টি সিএনজি এবং ৬৭টি মোটরসাইকেলসহ ১৫০টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ট্রাফিক-রমনা বিভাগে ১২টি বাস, ১টি ট্রাক, ৮টি কাভার্ডভ্যান, ৮টি সিএনজি এবং ৩৫টি মোটরসাইকেলসহ ৯৬টি মামলা হয়েছে। লালবাগ ট্রাফিক বিভাগে ৬টি বাস, ১টি ট্রাক, ১টি কাভার্ডভ্যান, ১৯টি সিএনজি এবং ৫৮টি মোটরসাইকেলসহ ৯৯টি মামলা করা হয়েছে।
অভিযান চলাকালে মোট ৩৩৭টি যানবাহন ডাম্পিং এবং ২১৩টি যানবাহন রেকার করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো রাজধানীতে ট্রাফিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। নিয়মিত চেকপোস্ট, মোবাইল টিম এবং রুটে মোবাইল নজরদারির মাধ্যমে যানবাহনের অযথা যানজট, পার্কিং বিধি লঙ্ঘন ও ট্রাফিক আইন অমান্য রোধ করা হবে। এছাড়া, আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা ও শহরের চলাচল প্রক্রিয়া সহজতর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ঢাকা শহরের চলমান যানজট, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন এবং রাস্তা দুর্ঘটনা কমাতে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের এই ধরনের অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং অভিযান চালানোর মাধ্যমে শহরের সড়কে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনা কমানো এবং যাত্রী ও পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।