বিনোদন ডেস্ক
প্রবীণ বলিউড অভিনেত্রী জয়া বচ্চন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রতি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। পাপারাজ্জিদের ছবি তোলার ধরণ এবং পোশাক-আশাক নিয়ে তিনি প্রকাশ্যভাবে বিরক্তি প্রকাশ করেন। তার এই মন্তব্যকে পেশার প্রতি অসম্মান হিসেবে দেখছেন বলিউড পরিচালক অশোক পণ্ডিত।
জয়া বচ্চন অনুষ্ঠানে পাপারাজ্জিদের লক্ষ্য করে বলেন, ‘এরা মিডিয়া? আমিও একজন সাংবাদিকের মেয়ে। সুতরাং ভালো করে জানি মিডিয়া, সাংবাদিক কাদের বলে। নোংরা পোশাক পরে চলে আসে, হাতে চারটে ফোন নিয়ে। উদ্ভট প্রশ্ন করে। নানা ধরনের মন্তব্য করে। এদের কী করে সাংবাদিক বলা যায়?’ তিনি আরও জানান, বর্তমান চিত্রসাংবাদিকতার এই আচরণ তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এবং বাবার প্রসঙ্গ টেনে বারবার নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
পরিচালক অশোক পণ্ডিত জয়া বচ্চনের মন্তব্যকে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘পাপারাজ্জিদের ঝাঁপিয়ে পড়ে ছবি তোলার প্রবণতা নিয়ে সমালোচনা করা এক জিনিস। কিন্তু তার জন্য চিত্রসাংবাদিকতার পেশাকে অপমান করা কি ঠিক?’ অশোকের মতে, জয়ার মতো ইন্ডাস্ট্রির একজন অভিজ্ঞ সদস্যের কাছ থেকে এমন শ্রেণিবৈষম্যমূলক মন্তব্য কাম্য নয় এবং এতে অভিজাতসুলভ ঔদ্ধত্যের ছাপ পরিলক্ষিত হয়।
চিত্রপেশায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকা জয়া বচ্চন বিভিন্ন সময়ে তার মতামত প্রকাশ করেছেন, যা কখনও কখনও মিডিয়ার নজর কেড়েছে। এ ধরনের মন্তব্য সমাজে মিডিয়ার ভূমিকা ও তার সীমারেখা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জনসমক্ষে এমন মন্তব্য সাংবাদিকতার পেশাগত মর্যাদা এবং মিডিয়ার স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করে।
পাপারাজ্জি ও সাধারণ সাংবাদিকদের কার্যধারা নিয়ে আগে থেকেই বিভিন্ন বিতর্ক বিদ্যমান। চিত্রপেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা কখনও কখনও তাদের ব্যক্তিগত অসন্তোষ প্রকাশ করে থাকেন, যা প্রায়শই সংবাদপত্র ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আলোচনার জন্ম দেয়। জয়া বচ্চনের মন্তব্যও এ ধরনের একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা বলিউডের নানাবিধ পেশাগত ও সামাজিক পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, জয়া বচ্চনের এই মন্তব্য চিত্রসাংবাদিকতা, মিডিয়ার দায়িত্ব এবং পেশাগত সীমারেখা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূচনা করেছে। অনেকে এটিকে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন এটি শিল্পী এবং মিডিয়ার মধ্যে সম্পর্ক ও পারস্পরিক সীমারেখা পুনর্বিবেচনার সুযোগ। এ প্রেক্ষাপটে, ভবিষ্যতে শিল্পী এবং সাংবাদিক উভয়েরই ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়ে সুষম সংলাপ গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে।