অর্থনীতি ডেস্ক
বাংলাদেশে ভোক্তাপর্যায় এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপি গ্যাসের দাম প্রতি সিলিন্ডারে ১ হাজার ২১৫ টাকা থেকে ৩৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ২৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অটোগ্যাসের দাম ৫৫.৫৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে প্রতি কেজিতে ৫৭ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এ নতুন দাম ঘোষণা করে। কমিশন জানিয়েছে, এই নতুন দাম বুধবার সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
আগের মাসে, অর্থাৎ নভেম্বরের জন্য, এলপি গ্যাসের দাম ২৬ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। একই সময় অটোগ্যাসের দাম ভোক্তাপর্যায় ১ টাকা ১৯ পয়সা কমানো হয়েছিল এবং তা ৫৫ টাকা ৫৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এলপি গ্যাস এবং অটোগ্যাসের মূল্য পরিবর্তন সাধারণত গ্যাস সরবরাহ খরচ, আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য, এবং স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউশন খরচের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে গ্যাসের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় করার জন্য এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন নিয়মিত মূল্যসমন্বয় করে থাকে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ভোক্তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সরাসরি প্রভাব ফেলবে। বাড়তি খরচের কারণে গৃহস্থালির বাজেটের ওপর চাপ পড়তে পারে, বিশেষ করে পরিবারগুলোতে যাদের দৈনন্দিন রান্না ও যানবাহনের জন্য এই গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, ব্যবসায়িক ও শিল্প খাতে এলপি গ্যাসের খরচ বৃদ্ধিও উৎপাদন খরচ বাড়াতে পারে, যা মূল্যস্ফীতির প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক গ্যাস বাজারের ওঠানামা এবং স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউশন খরচ মূল্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও, নতুন দরের কার্যকর হওয়া ভোক্তাদের প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে এবং গ্যাস ব্যবহারের কার্যকারিতা মূল্যায়নের সুযোগ দেবে।
বাংলাদেশে গ্যাসের দাম নিয়মিত সমন্বয় করা হলেও, মাসিক মূল্য পরিবর্তন ভোক্তাদের জন্য সচেতনতার বিষয়। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ভোক্তাদের নিরাপদ এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।
এই নতুন মূল্য নির্ধারণে ভোক্তাদের জন্য কার্যকর সময়সূচি এবং স্থানীয় বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে সরবরাহের প্রভাবও বিবেচনা করা হয়েছে, যাতে কোনোরূপ জটিলতা সৃষ্টি না হয়।