1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনা–চুক্তির বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে বিভক্ত রায়

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৯ বার দেখা হয়েছে

 

জাতীয় ডেস্ক

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ও একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলমান চুক্তি প্রক্রিয়ার আইনগত বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলে হাইকোর্টের এক বেঞ্চে বিভক্ত রায় হয়েছে। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফাতেমা নজীব প্রক্রিয়াটিকে অবৈধ ঘোষণা করেন, আর জুনিয়র বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ার একই প্রক্রিয়াকে বৈধ বলে রায় দেন। ভিন্নমতের কারণে এখন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ গঠন করবেন।

বৃহস্পতিবার পৃথক রায়ে আদালত জানান, এনসিটি পরিচালনা সম্পর্কিত চুক্তি প্রক্রিয়া নিয়ে দেওয়া রুলের শুনানি শেষ হওয়ার পর আদালত বিষয়টি নিয়ে বিশদভাবে পর্যালোচনা করেছে। তবে বেঞ্চের দুই বিচারপতির ভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে রুলের ওপর চূড়ান্ত রায় দেওয়া সম্ভব হয়নি। আইন অনুযায়ী এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করেন। সেই বেঞ্চ রুলের নিষ্পত্তির জন্য পুনরায় শুনানি নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।

এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি অপারেটরের অংশগ্রহণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট চুক্তি–প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর কেন এটি আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল জারি করে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা অনুসরণ করে যেকোনো অপারেটর নিয়োগের আগে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। রুলটি জারি করেছিলেন বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রিটটি করেন বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন। তিনি এনসিটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর–সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া এবং এর পেছনের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রিটে নৌসচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়। রিটকারী পক্ষের যুক্তি ছিল—রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই টার্মিনাল পরিচালনার বিষয়ে নীতিগত, কারিগরি ও আর্থিক দিক থেকে পূর্ণ মূল্যায়ন নিশ্চিত করা জরুরি। কিন্তু বর্তমান প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়া বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হলে তা স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে।

রুল জারির পর প্রায় চার মাস ধরে এ বিষয়ে চলমান শুনানি গত ২৫ নভেম্বর শেষ হয়। আদালত আদেশ ঘোষণার জন্য ৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। পরে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দুটি পৃথক মতামতে রুল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন সিদ্ধান্ত আসে। আদালতে রিটকারীর পক্ষে একাধিক আইনজীবী শুনানি করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল।

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর এবং আমদানি–রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্য পরিবহন এ বন্দর হয়ে সম্পন্ন হয়। নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বন্দরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এটি পুরোপুরি কার্যকরভাবে পরিচালিত হলে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিদেশি অপারেটর নিয়োগের পক্ষে যুক্তি হিসেবে বলা হয় যে আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতা ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞ; তারা বন্দর পরিচালনার দক্ষতা, গতি ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

অন্যদিকে, রিটকারী পক্ষ যুক্তি দিয়েছে যে দেশের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত দক্ষতা ও অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে পরিচালনা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে স্থানীয় সক্ষমতা উন্নয়ন ব্যাহত হতে পারে এবং বন্দর পরিচালনার ক্ষেত্রে সার্বভৌম সিদ্ধান্ত গ্রহণে সীমাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে। এ অবস্থায় ন্যায্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করা হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতো।

হাইকোর্টের বিভক্ত রায় বন্দরের কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ—বিশেষত বিদেশি অপারেটর নিয়োগ—সংক্রান্ত নীতিমালা ও আইন প্রয়োগের প্রশ্নে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন বেঞ্চের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বন্দরের ভবিষ্যৎ পরিচালনা কাঠামো ও নীতিমালার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। এখন আদালতের পরবর্তী নির্দেশনার ওপর নজর থাকবে, যাতে এনসিটি পরিচালনা–সংক্রান্ত চুক্তি প্রক্রিয়ার বৈধতা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীতিগত সিদ্ধান্তের সঠিকতা বিষয়ে স্পষ্টতা আসে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com