1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল আপিল বিভাগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৬ বার দেখা হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেটি বহাল রেখে আপিল বিভাগ রিটকারীর লিভ টু আপিল খারিজ করেছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে হাইকোর্টের রায় অটুট থাকল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের আইনগত অবস্থান নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই বলে আদালতের আদেশে স্পষ্ট করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত বলেন, হাইকোর্ট যথাযথ বিচারিক বিবেচনার ভিত্তিতে রিট খারিজ করেছিলেন এবং আপিল বিভাগ সেই সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন মনে করেনি।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহসীন রশিদ। এছাড়া ইন্টারভেনর হিসেবে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ড. শরীফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার এস এম শাহরিয়ার কবির বিভিন্ন দিক থেকে আদালতে মতামত উপস্থাপন করেন।

আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়, হাইকোর্ট যে আইনি যুক্তির ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন ও শপথকে বৈধ ঘোষণা করে রিট খারিজ করেছিলেন, সেই সিদ্ধান্ত সঠিক ও আইনসম্মত। আদালত উল্লেখ করেন, হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রেফারেন্স, সংবিধানের প্রাসঙ্গিক ধারা এবং সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দিয়েছিলেন। আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে সেই রায় বহাল রাখায় হাইকোর্টের ব্যাখ্যাই এখন কার্যকর বলে গণ্য হবে।

আদালতের আদেশ ঘোষণার পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে আর কোনো আইনি বিতর্ক অবশিষ্ট থাকল না। তিনি বলেন, হাইকোর্ট রায়ে যে সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ তা সমর্থন করায় অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড এখন প্রশ্নাতীত।

মামলার প্রেক্ষাপট হিসেবে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী মহসীন রশিদ। তিনি রিটে দাবি করেন, সরকার গঠনের পদ্ধতি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং এ বিষয়ে বিচারিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে রায়ে উল্লেখ করেন যে দেশের জনগণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও সংবিধানের আলোকে যে গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে, তা আইনি বৈধতার প্রশ্নকেও সমর্থন করে।

হাইকোর্ট আরও বলেন, সংকটকালীন পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে জনসমর্থন ও রাজনৈতিক স্বীকৃতি থাকা অবস্থায় এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যুক্তিসঙ্গত নয়। রিট খারিজ হওয়ার পর রিটকারী পক্ষ আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল আবেদন করেন।

আবেদনটির ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ বুধবার আদেশের তারিখ নির্ধারণ করেন। পরের দিন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে আবেদন খারিজ করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, হাইকোর্টের বিশদ যুক্তি ও রেফারেন্স বিবেচনায় আপিল বিভাগ কোনো নতুন প্রশ্ন বা সাংবিধানিক জটিলতা দেখতে পায়নি।

আইনবিশেষজ্ঞদের মতে, আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্ত দেশের চলমান রাজনৈতিক কার্যক্রম ও প্রশাসনিক ধারাবাহিকতার ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন নিয়ে যে আইনি অনিশ্চয়তা ছিল, তা এখন সম্পূর্ণভাবে দূর হলো। আদালতের রায়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটির অবস্থান আরও সুদৃঢ় হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এ ছাড়া, বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তে এই স্পষ্টতা প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত নির্বাচনী প্রক্রিয়া, নীতি নির্ধারণ এবং বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বাস্তবায়নে আইনি প্রশ্নহীনতা রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে পারে।

মামলাটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও সাংবিধানিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে, কারণ সংকটময় জাতীয় পর্যায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে আগেও বিভিন্ন আলোচনা ছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতের সর্বসম্মত রায়ের ফলে এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় অবস্থান এখন সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com