1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

আর্জেন্টিনা গ্রুপ ‘জে’-তে; ২০২৬ বিশ্বকাপে মেসির অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক

২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা স্থান পেয়েছে গ্রুপ ‘জে’-তে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও জর্ডান। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ড্র অনুষ্ঠানে ৪৮ দলের এই বৃহৎ টুর্নামেন্টের গ্রুপ বিন্যাস চূড়ান্ত করা হয়। নতুন ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাওয়া দলগুলো নিয়ে এই আসর ফুটবল বিশ্বের নজর কাড়ছে। তবে ড্র-পরবর্তী সময়ে আর্জেন্টিনা শিবিরে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় রয়ে গেছে লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ অংশগ্রহণের প্রশ্ন।

লিওনেল মেসি এখনো নিশ্চিত করে জানাননি তিনি ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে খেলবেন কি না। আর্জেন্টিনা ফুটবলভক্তদের প্রতীক্ষা বাড়িয়ে দিয়ে মেসি জানিয়েছেন, তিনি আশা করেন দলে থাকতে পারবেন। তবে একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, যেকোনো অবস্থাতেই তিনি এই টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা সরাসরি নিতে চান। মেসির ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্বকাপ শুধু আর্জেন্টিনার কাছে নয়, বরং সারা বিশ্বের জন্যই বিশেষ এক আয়োজন। তার এই মন্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ বয়স ও ফিটনেস বিবেচনায় ২০২৬ বিশ্বকাপে তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত নয়।

আর্জেন্টিনা দল এবার তাকিয়ে আছে নতুন ইতিহাস গড়ার দিকে। দলটি যদি ২০২৬ সালের সংস্করণেও শিরোপা ধরে রাখতে পারে, তাহলে তারা ইতালি (১৯৩৪ ও ১৯৩৮) এবং ব্রাজিলের (১৯৫৮ ও ১৯৬২) পর ইতিহাসে তৃতীয় দল হিসেবে টানা দুইবার বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়বে। দেশটির ফুটবল ইতিহাসে এটি হবে বড় অর্জন, বিশেষ করে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে নাটকীয় পারফরম্যান্সের পর দলটির প্রতি বিশ্বব্যাপী আগ্রহ বেড়েছে। ফলে ২০২৬ সালের আসরেও আর্জেন্টিনাকে অন্যতম ফেভারিট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিশ্বকাপের সূচনা হয়েছিল ১৯৩০ সালে মাত্র ১৩টি দল নিয়ে। পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে তা পৌঁছায় ৩২-এ এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় পরিণত হয় এই আয়োজন। আগামী ২০২৬ সংস্করণে দল বাড়ছে আরও ১৬টি। মোট ৪৮ দল অংশ নেবে, যা হবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আসর। ফিফা কর্তৃপক্ষ মনে করছে, বাড়তি দলসংখ্যা ফুটবলের বৈশ্বিক বিস্তারকে আরও সুসংহত করবে এবং বিভিন্ন অঞ্চলের দলগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শনের সুযোগ দেবে।

বর্তমানে ৪২টি দল নিশ্চিত করেছে তাদের জায়গা। বাকি ছয়টি স্লটের মধ্যে দুইটি নির্ধারিত হবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফের মাধ্যমে, যেখানে বিভিন্ন মহাদেশের দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার লক্ষ্যে। অন্যদিকে চারটি দল আসবে ইউরোপীয় বাছাইয়ের প্লে-অফ রাউন্ড থেকে। এই আসরে প্রতিটি অঞ্চলে প্রতিযোগিতা আগেরবারের তুলনায় আরও তীব্র হয়েছে, কারণ বাড়তি জায়গা থাকলেও দলসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হওয়ায় বাছাইপর্বগুলোতে সমতা ফিরে এসেছে।

দলসংখ্যা বাড়ানোর ফলে যুক্ত হয়েছে একটি অতিরিক্ত নকআউট রাউন্ড। নতুন এই ফরম্যাট অনুযায়ী প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল স্বাভাবিকভাবে পরবর্তী রাউন্ডে উঠবে। তাদের সঙ্গে যোগ দেবে সেরা আট তৃতীয়-স্থান অধিকারী দল। ফলে মোট ৩২ দল যাবে নকআউট পর্বে, যা ২০২৬ বিশ্বকাপকে করবে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। বিভিন্ন ফুটবল বিশ্লেষক মনে করছেন, এই ফরম্যাট দলগুলোকে গ্রুপপর্বে আরও কৌশলী হতে বাধ্য করবে, কারণ তৃতীয় স্থানে থেকেও পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ থাকায় প্রতিটি ম্যাচের গুরুত্ব বাড়বে।

রাউন্ড অব ৩২ থেকে শুরু করে পুরো নকআউট ধাপ হবে একক ম্যাচের ভিত্তিতে। ৯০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের পর ম্যাচ ড্র হলে ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে এবং তাতেও ফল না এলে টাইব্রেকারের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে। ফিফার মতে, এই ফরম্যাটে প্রতিটি ম্যাচ হবে আরও উত্তেজনাপূর্ণ এবং যে কোনো দলের বিশ্বকাপ অভিযাত্রা এক ম্যাচেই থেমে যেতে পারে। নতুন এই নিয়ম পরিবর্তনের ফলে খেলার গতিধারা আগের চেয়ে দ্রুততর ও আক্রমণাত্মক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ড্র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা তাদের গ্রুপ প্রতিপক্ষ জেনে প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছে। আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও জর্ডান—তিন প্রতিপক্ষের প্রত্যেকেই আর্জেন্টিনার তুলনায় অনভিজ্ঞ হলেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে অপ্রত্যাশিত ফলাফলের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে ৪৮ দলের এ আসরে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলগুলোর জন্যও নিজেদের প্রমাণের সুযোগ বাড়ছে। আর্জেন্টিনা কোচিং স্টাফও তাই প্রতিটি ম্যাচকে সমান গুরুত্ব দিয়ে এগোতে চাইছে।

মেসির অংশগ্রহণের প্রশ্ন যদিও এখনো ঝুলে আছে, তবে আর্জেন্টিনা দল এবং তাদের সমর্থকেরা ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আশাবাদী। আসন্ন মাসগুলোয় বাছাইপর্ব ও প্রস্তুতিমূলক ম্যাচগুলোর মাধ্যমে পরিস্থিতি পরিষ্কার হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিশ্বকাপের সর্ববৃহৎ এই আসর ফুটবলপ্রেমীদের কাছে নতুন এক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে যাচ্ছে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নতুন ফরম্যাটের চ্যালেঞ্জ এবং তারকারা—বিশেষ করে লিওনেল মেসি—দেখবেন কি না, সেটিই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com