1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ও পঞ্চদশ সংশোধনী বিষয়ে হাইকোর্টের রায়–বিরোধী আপিলের শুনানি শুরু মন্দিরা চক্রবর্তীর নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে ভক্তদের আগ্রহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্বরচিত ও সকন্ঠে গাওয়া ৬টি গানের মধ্য এটি অন্যতম ভারতের সুদের হার কমানো ও তারল্য বৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে নতুন গতি প্রত্যাশা অতীত সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল :সালাহউদ্দিন আহমদ সেতুর নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলা, পণ্ড হলো আয়োজন ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে ৯১৬ জনের মৃত্যু, ২৭৪ জন নিখোঁজ গোয়ার বাগা বিচে নাইটক্লাবের অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু, তদন্ত শুরু সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় লাহোর শীর্ষে, ঢাকার অবস্থান তৃতীয়

জুলাই–আগস্ট আন্দোলন: কুষ্টিয়ায় ছয় হত্যাসহ আট অভিযোগে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জুলাই–আগস্ট আন্দোলন সংক্রান্ত কুষ্টিয়ায় সংঘটিত ঘটনার মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে দায়ের করা ছয় হত্যাসহ মোট আটটি অভিযোগের বিরুদ্ধে আজ (রোববার, ৭ ডিসেম্বর) সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারপারসন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সামনে এ সাক্ষ্যগ্রহণ পেশ করা হবে। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সংগঠিত হতে পারে।

গত ২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনের জেরার কার্যক্রম শেষ হয়। ওই দিন দুই নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহাকে অভিযোগপ্রত্যেকপক্ষ জেরা করেন; ইনুর পক্ষে এসময় বলেছেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তানভীর হাসান জোহা তার আগে ১ ডিসেম্বরে সাক্ষ্য দান করেছিলেন। মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে মো. রাইসুল হক জবানবন্দি দেন; তিনি জানিয়েছেন যে তিনি মেহেরপুরের বাসিন্দা হলেও ওই সময় কুষ্টিয়া শহরের একটি মেসে থাকতেন এবং আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হওয়া হামলার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ছিলেন। ওই সাক্ষীর বর্ণনায় তিনি বলেছেন যে হামলার নির্দেশদাতা ও উসকানিদাতা হিসেবে হাসানুল হক ইনুকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাঁর উপরও গুলি লেগেছিল; ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেছেন। রাইসুল হক ট্রাইব্যুনালের কাছে ইনুর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

প্রসিকিউশনের প্রাথমিক উপস্থাপনায় মামলাটি গত ২৫ সেপ্টেম্বর আনা হয়; একই মাসে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির মাধ্যমে ইনুর হাজিরা নিশ্চিত করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৩০ নভেম্বর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। একই দিন ইনুর করা রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়; ইনুর পক্ষে আইনজীবী সিফাত মাহমুদ ও মনসুরুল হক যুক্তি রাখেন, প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর। শুনানির পরে ট্রাইব্যুনাল ইনুর রিভিউ আবেদনটি খারিজ করেন। এর পূর্বে ২ নভেম্বর আটটি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে দাখিল করা অনুষঙ্গগত কাগজপত্রে প্রসিকিউশন বলেছে, মামলায় চার্জশিট-টি ৩৯ পৃষ্ঠার এবং সাক্ষী তালিকায় মোট ২০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে তিনটি অডিও রেকর্ডিং ও ছয়টি ভিডিও ফুটেজও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছেন; অভিযোগগুলোর মধ্যে উস্কানি, ষড়যন্ত্র ও গণহত্যাসহ সুনির্দিষ্ট ধারাগুলো উল্লেখ রয়েছে বলে প্রসিকিউশন সংশ্লিষ্ট দাখিলপত্রে প্রতিফলিত হয়েছে।

আদালতবিহীন প্রসঙ্গ হিসেবে গত বছরের ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে পুলিশের মাধ্যমে হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করা হয়; বর্তমানে তিনি বিভিন্ন মামলায় detenশনে রয়েছেন। রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন; ওই নির্বাচনে তিনি নিজ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরে যান।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া শহরে নিহতরা হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যে শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুস্তাকিন, উসামা, ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী ও চাকরিজীবী ইউসুফ শেখের নাম উল্লেখ করা হয়েছে; এ ছাড়া অনেক নিরীহ ব্যক্তি আহত হন—যেগুলো ট্রাইব্যুনালের মামলার ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইনজীবী ও প্রসিকিউটরদের কথিত যুক্তি, সাক্ষ্যগ্রহণের ফলাফল এবং দাখিলকৃত অডিও-ভিডিও সংযুক্তির যাচাই অনুসারে ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী পর্যায়ে রায়ে পৌঁছাবে। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে আদালত আইনত প্রযোজ্য বিধি মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি ও রায় কুষ্টিয়া ও জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য আইনী ও সামাজিক প্রভাব ফেলতে পারে, যা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপিত প্রমাণ ও সাক্ষীদের জবানের ওপর নির্ভরশীল হবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com