1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমা চাওয়ায় ফজলুর রহমান আদালত অবমাননা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা, বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক তীব্র মালদ্বীপ–বাংলাদেশ পুলিশ সহযোগিতা জোরদারে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রাজবাড়ীতে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা, সরবরাহ ঘাটতিতে ভোক্তাদের চাপ জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সিইসির বৈঠক ধুরন্ধরের দ্রুত অগ্রযাত্রা: মুক্তির তিন দিনে শতকোটি রুপি আয় নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিবের আচরণে ক্ষোভ, দাবি বাস্তবায়নে জরুরি সিদ্ধান্ত অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে সেল্টার কাছে পরাজয়, চোট–কার্ডে জটিলতা বাড়ল পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা ও সাংবিধানিক বিধান নিয়ে আলোচনা জোরদার প্রাক্তন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ আসামির হাজিরায় ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কড়া নিরাপত্তা

পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা ও সাংবিধানিক বিধান নিয়ে আলোচনা জোরদার

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

আইন আদালত ডেস্ক

বর্তমান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। তাঁর অবসরের সময় ঘনিয়ে আসায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বিচারিক পদে পরবর্তী নিয়োগকে কেন্দ্র করে আইন অঙ্গনে তৎপরতা ও আলোচনা বেড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ক্রম ও সাংবিধানিক বিধান অনুসারে কে হতে পারেন দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি—এ প্রশ্ন এখন বিচার বিভাগ ও আইনজীবী সমাজের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

বর্তমানে আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি দায়িত্ব পালন করছেন। জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী তারা হলেন—বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। চলমান আলোচনায় সবচেয়ে বেশি যে দুইজনের নাম উঠে আসছে তারা হলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী—যারা জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেও প্রথম দুই স্থানে রয়েছেন।

রীতি অনুযায়ী আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্য থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ২৫তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটে; রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আদালতের শীর্ষ পর্যায়ে শূন্যতা সৃষ্টি হওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে তখন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা বিচার বিভাগের ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হয়ে আছে। যদিও চলমান পরিস্থিতিতে বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, এবারও আপিল বিভাগ থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রচলিত রীতি অনুসৃত হবে।

সংবিধানের ৯৫ ও ৯৭ অনুচ্ছেদে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ও তাঁর অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের বিধান উল্লেখ রয়েছে। ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেবেন এবং অন্যান্য বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ নেবেন। অনুচ্ছেদ ৯৭-এ বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হলে আপিল বিভাগের প্রবীণতম বিচারপতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন, যতক্ষণ না নতুন প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে সংবিধানে জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের পূর্ববর্তী সুপারিশে বলা হয়েছিল, আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া উচিত; তবে জ্যেষ্ঠতম বিচারপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকলে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাবও উল্লেখ করা হয়েছিল। এসব সুপারিশের উদ্দেশ্য ছিল বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

আগামী ২৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির অবসরে যাওয়ার ফলে শূন্য হওয়া পদে রাষ্ট্রপতিই সিদ্ধান্ত নেবেন কে হবেন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি। বিচার বিভাগ, আইনজীবী এবং সংশ্লিষ্ট মহলে মত হচ্ছে যে জ্যেষ্ঠতা বিবেচনায় এই দায়িত্ব বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম বা বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর মধ্যে একজনের কাছে অর্পিত হতে পারে। তবে সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে স্বাধীন ক্ষমতা দেওয়ায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতির ওপরই নির্ভরশীল।

এদিকে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পেশাগত জীবন, কর্মজীবন, শিক্ষা ও পারিবারিক পটভূমি দেশবাসীর আগ্রহ বাড়িয়েছে। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ১৯৮৩ সালে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং দুই দশকেরও বেশি সময় হাইকোর্টে দায়িত্ব পালনের পর ২০২২ সালে আপিল বিভাগে যোগ দেন। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ১৯৮৫ সালে আইনপেশায় প্রবেশ করেন এবং ২০২৪ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হন। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ১৯৮৪ সালে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০২৪ সালে আপিল বিভাগে দায়িত্ব পান। বিচারপতি ইমদাদুল হক ১৯৯০ সালে আইন পেশা শুরু করে ২০২৪ সালে আপিল বিভাগে যোগ দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব উভয়েই দীর্ঘদিন হাইকোর্ট বিভাগে দায়িত্ব পালনের পর ২০২৫ সালের মার্চে আপিল বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

বর্তমান প্রধান বিচারপতির অবসরের ফলে নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ শুধু বিচার বিভাগের নেতৃত্ব পরিবর্তনই নয়, বরং আদালতের নীতিনির্ধারণ, মামলা ব্যবস্থাপনা এবং বিচার বিভাগীয় সংস্কারের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনায়ও প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে চলমান বিচার বিভাগীয় সংস্কার, প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার গতিশীলতার ক্ষেত্রে নতুন প্রধান বিচারপতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে।

সবশেষে বিষয়টি এখন রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। সাংবিধানিক বিধান, প্রচলিত রীতি, জ্যেষ্ঠতা এবং বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ বাস্তবতাসহ সবদিক বিবেচনা করে শিগগিরই দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতির নাম ঘোষণা করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলে ধারণা করা হচ্ছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com