1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ১৫ কর্মকর্তার স্থানান্তর সম্পন্ন সরকারি কর্মচারীদের পে স্কেল কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ আসন্ন নির্বাচনে বেআইনি জনসমাবেশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান সরকারের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা স্পষ্ট করল ইসি গুমসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ১৪ ডিসেম্বর আগামী জাতীয় নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা চাইলেন সিইসি স্কুল পর্যায়ে বহু-ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনার কথা জানালেন তারেক রহমান সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান পরিকল্পনা সচিবের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক সব শক্তিকে এক হতে হবে : মির্জা ফখরুল গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে কিউবার সাবেক মন্ত্রীর আজীবন কারাদণ্ড

গুমসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ১৪ ডিসেম্বর

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

আইন আদালত ডেস্ক

গুমসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা এক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক-বর্তমান মিলিয়ে ১২ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কি না—সে বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ মঙ্গলবার বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের বিস্তৃত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করে।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, মামলার প্রাথমিক তদন্ত ও উপস্থাপিত উপাত্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গুম এবং অন্যান্য গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধের পাঁচটি পৃথক অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, মামলার নথিপত্রে এমন সাক্ষ্য, প্রমাণ এবং সাক্ষীর বয়ান রয়েছে, যা অভিযোগ গ্রহণের জন্য যথেষ্ট বলে তারা মনে করে। রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করে জানায় যে ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়পর্বে, এবং অভিযুক্তরা রাষ্ট্রের দায়িত্বে থেকে তা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছেন বা সরাসরি ওই কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করেন। তারা দাবি করেন, মামলায় উত্থাপিত অভিযোগসমূহ আইনের দৃষ্টিতে প্রমাণিত হয়নি এবং অভিযোগের সঙ্গে আসামিদের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার কোনো গ্রহণযোগ্য উপাদান নেই। আসামিপক্ষ যুক্তি তুলে ধরে জানায়, রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপিত সাক্ষ্যের ধারাবর্ণনা ও নথিপত্রে অসংগতি রয়েছে এবং সেগুলো অভিযোগ প্রমাণের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তারা আরও জানান, ঘটনার সময় বা দায়িত্বে থাকা প্রাসঙ্গিক অবস্থানে অনেক আসামি ছিলেন না, ফলে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত।

মামলার ১৩ আসামির মধ্যে বর্তমানে তিনজন সেনা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার অবস্থায় রয়েছেন। তারা হলেন—ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) মেজর জেনারেল শেখ মো. সারওয়ার হোসেন, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী। বাকি আসামিরা মামলায় জামিনে আছেন বা অনুপস্থিত বলে নথিতে উল্লেখ রয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তাকে নিয়মিতভাবে হাজির করা হচ্ছে এবং অন্যান্য আসামিদের ক্ষেত্রেও আদালতের নির্দেশ কার্যকর রয়েছে।

আইনজীবীদের দীর্ঘ শুনানিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলার অভিযোগের ধরন, ঘটনার সময়কাল, অভিযোগ উত্থাপনের আইনগত ভিত্তি, সাক্ষ্য-প্রমাণের গ্রহণযোগ্যতা এবং অভিযোগ গঠনের উপযোগী পর্যাপ্ত উপকরণ আছে কি না—এসব দিক বিশদভাবে পর্যালোচনা করেছে। ট্রাইব্যুনাল জানায়, উভয় পক্ষের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে এবং নথিতে থাকা উপাদান ও আইনি দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করে অভিযোগ গঠন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী ১৪ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে।

মামলাটি আইনি ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ক্ষেত্রে অভিযোগ গঠন একটি মৌলিক ধাপ, যার মাধ্যমে আদালত সিদ্ধান্ত নেয় যে অভিযোগগুলো বিচার উপযোগী কি না। অভিযোগ গঠন হলে মামলাটি পূর্ণাঙ্গ বিচারের পর্যায়ে প্রবেশ করবে এবং রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ উভয়ই সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের সুযোগ পাবে। অভিযোগ গঠন না হলে আসামিরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন এবং মামলা এখানেই শেষ হবে।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিযোগ গ্রহণ বা বাতিল—উভয় সিদ্ধান্তই দেশের বিচারব্যবস্থা, প্রশাসনিক কাঠামো এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। অভিযোগ গঠন হলে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া সংক্রান্ত জাতীয় আইনে একটি নজির স্থাপন করতে পারে। অপরদিকে, অভিযোগ বাতিল হলে রাষ্ট্রপক্ষের তদন্ত প্রক্রিয়া, অভিযোগ উত্থাপন এবং সাক্ষ্য সংগ্রহের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

আগামী ১৪ ডিসেম্বর আদালতের আদেশের মাধ্যমে মামলার পরবর্তী ধাপ স্পষ্ট হবে। আদেশের পরবর্তী কার্যক্রম অনুযায়ী আদালত সময়সূচি নির্ধারণ করবে এবং অভিযোগ গঠন হলে সাক্ষ্যগ্রহণ, নথি উপস্থাপন, জেরা, আইনি যুক্তিতর্কসহ দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। আদালত ইতোমধ্যে নথিপত্র পর্যালোচনা সম্পন্ন করেছে এবং আদেশ-সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তুতে কাজ চলছে।

আইনি বিশ্লেষকদের মতে, এই মামলার রায় বা পরবর্তী পদক্ষেপ দেশের বিচারব্যবস্থায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলোর প্রক্রিয়াগত কাঠামোকে আরও সুস্পষ্ট করতে সহায়তা করতে পারে। আদালতের আদেশের মাধ্যমে অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত এলে মামলার তথ্য-উপাত্ত, সাক্ষ্যের গ্রহণযোগ্যতা এবং ঘটনাগুলোর প্রকৃতি বিষয়ে বিচারিক ব্যাখ্যা সামনে আসবে। মামলার পরবর্তী ধাপ তাই পর্যবেক্ষকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com