1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক দায়িত্ব হিসেবে দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ভারত সরকারের সম্মতির ওপর নির্ভরশীল: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিপিএলের নতুন মৌসুমে চট্টগ্রাম রয়্যালসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি পরিশোধ নিশ্চিত করল বিসিবি অ্যাডিলেড টেস্টে ফিরছেন প্যাট কামিন্স, তৃতীয় ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণা মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ডে গৃহকর্মী আয়েশা গ্রেফতার বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে নায়ক নির্বাচনে বৈচিত্র্য প্রয়োজনের তাগিদ অপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা বিমান ত্রুটিতে ফ্লোরিডার মহাসড়কে জরুরি অবতরণ, গাড়ির ওপর পড়ে আহত চালক চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে সতর্ক থাকার নির্দেশ পিএসজি কোচ এনরিকের

বিপিএলের নতুন মৌসুমে চট্টগ্রাম রয়্যালসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি পরিশোধ নিশ্চিত করল বিসিবি

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক

আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসর শুরুর আগেই চট্টগ্রাম রয়্যালসের আর্থিক দায়বদ্ধতা নিয়ে তৈরি হওয়া নানা প্রশ্নের অবসান ঘটিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ড জানিয়েছে, দলটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ও ব্যাংক গ্যারান্টিসহ সব ধরনের আর্থিক পাওনা পরিশোধ করেছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আসর সামনে রেখে এই নিশ্চিতকরণকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ২ কোটি টাকা ফি ও ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে হয়। গত আসরে চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিয়ে বেতন বকেয়া থাকা এবং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নানা আলোচনা উঠেছিল। এবার মালিকানা পরিবর্তনের পরেও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হওয়ায় বিসিবি বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা দেয়। বোর্ডের বিবৃতিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম রয়্যালস নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব আর্থিক দায় পরিশোধ করেছে এবং বিপিএল অংশগ্রহণ সংক্রান্ত কোনো বকেয়া নেই।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দলটির আর্থিক অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিসিবির নজরে এসেছে। বোর্ড বলেছে, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং বিভ্রান্তি দূর করতে তারা প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করছে, যাতে নতুন মৌসুম সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নির্বিঘ্নে এগিয়ে যায়।

এ বছর বিপিএলের দ্বাদশ সংস্করণ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে। তিন ভেন্যু—সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় মোট ৩৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৩ জানুয়ারি আসরের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ সূচি অনুযায়ী, প্রতিটি দল রাউন্ড-রবিন পর্বে সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলবে এবং সেরা চার দল শেষপর্যায়ে প্লে-অফে জায়গা করে নেবে।

এবারের বিপিএলে ছয়টি দল অংশ নিচ্ছে—ঢাকা ক্যাপিটালস, রংপুর রাইডার্স, সিলেট টাইটানস, চট্টগ্রাম রয়্যালস, রাজশাহী ওয়ারিয়র্স এবং নোয়াখালী এক্সপ্রেস। পুরোনো দুটি দল ছাড়া বাকি চারটি নতুন নামে বা পুনর্গঠিত দল হিসেবে অংশ নিচ্ছে। চট্টগ্রাম রয়্যালস নতুন ব্যবস্থাপনায় প্রথম আসর হিসেবে দল পুনর্গঠন ও প্রস্তুতি প্রক্রিয়ায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বলে ক্রিকেট অঙ্গনের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

চট্টগ্রাম দলের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে অভিজ্ঞতা ও উদীয়মান প্রতিভার সমন্বয়। দলে রয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান, তানভীর ইসলাম, আবরার আহমেদ, নাঈম শেখ, শরিফুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, মাহমুদুল হাসান জয়, মাহফিজুল ইসলাম রবিন, সুমন খান, জিয়াউর রহমান, আরাফাত সানি, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, শুভাগত হোম চৌধুরী, সালমান হোসাইন ইমন, জাহিদউজ্জামান খান এবং বিদেশি ক্রিকেটার নিরোশান ডিকওয়েলা। স্থানীয় ক্রিকেটারদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডিকওয়েলার উপস্থিতি দলের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিপিএলের ইতিহাসে চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির পারফরম্যান্স ওঠানামা করেছে। তবে নতুন ব্যবস্থাপনা ও নতুন স্কোয়াড তাদের সামনে নতুন সূচনার সুযোগ তৈরি করেছে। বিসিবির আর্থিক নিশ্চয়তা দলটির প্রস্তুতিকে আরও সুসংহত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বিভিন্ন দলের স্কোয়াড শক্তিমত্তা, বিদেশি খেলোয়াড়ের উপস্থিতি, ভেন্যুর কন্ডিশন এবং প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়েও ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের ব্যস্ত সূচির কারণে এ বছর বিদেশি অংশগ্রহণ কিছুটা সীমিত হলেও বিপিএলের লিগ কাঠামো, টেলিভিশন সম্প্রচার এবং দর্শক প্রত্যাশা নতুন মৌসুমকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিসিবি জানিয়েছে, বিপিএলের প্রত্যেকটি ম্যাচে নিরাপত্তা, ভেন্যু ব্যবস্থাপনা, মাঠ ব্যবস্থাপনা ও সম্প্রচার সুবিধার মান নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিন ভেন্যুতেই দর্শক উপচে পড়ার সম্ভাবনা থাকায় টিকিট ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তা বিষয়েও আলাদা পরিকল্পনা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম রয়্যালসের আর্থিক নিশ্চয়তা সামনে রেখে এখন দলটি পুরো মনোযোগ দিচ্ছে ক্রিকেটীয় প্রস্তুতিতে। দলীয় ঐক্য, কন্ডিশনিং, স্কিল ট্রেনিং এবং ম্যাচ সিমুলেশন—সব মিলিয়ে তারা নতুন মৌসুমকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে শুরু করতে চায়। বিপিএলের দ্বাদশ আসর ঘিরে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশাও বেশ উঁচু। ব্যাট-বলের লড়াই, নতুন প্রতিভার উদ্ভাস এবং দলগুলোর কৌশলগত পরিবর্তন—সব মিলিয়ে এবারের আসরও উত্তেজনাপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com