1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘাত বৃদ্ধি, মধ্যস্থতায় উদ্যোগী যুক্তরাষ্ট্র সচিবালয়ে ভাতা দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে নন-ক্যাডার কর্মচারীরা মেগা প্রকল্প বন্ধ করে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগের অঙ্গীকার তারেক রহমানের ইমরান খানের সাক্ষাৎ নিষেধাজ্ঞা ঘিরে আদিয়ালা কারাগারে উত্তেজনা, পুলিশের অভিযান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার সুরক্ষায় স্থায়ী কাঠামো গঠনের ওপর জোর এসআই আফতাব উদ্দিন রিগানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপের দ্বাদশ বৈঠক শুরু নির্বাচন তফসিল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করছে নির্বাচন কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত আওয়ামী লীগবিষয়ক জনপ্রিয়তা জরিপের নৈতিকতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের প্রশ্ন

যুক্তরাজ্য থেকে এলএনজি আমদানির অনুমোদন

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

অর্থনীতি ডেস্ক

দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণ ও শীতকালের অতিরিক্ত ব্যবহার মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাবে সরকার অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ৪৯তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সভায় জানানো হয়, জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন পেট্রোবাংলা যুক্তরাজ্যের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ দশমিক ৩৭ মার্কিন ডলার দরে এলএনজি ক্রয় করবে। এ কার্গো আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৪৩৬ কোটি ৭ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শীতকালীন মাসে গ্যাসের চাহিদা সাধারণত উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়, বিশেষত বিদ্যুৎ উৎপাদন, গৃহস্থালি ব্যবহার ও শিল্প খাতে সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে অতিরিক্ত আমদানি প্রয়োজন হয়। এ প্রেক্ষাপটে আগাম পরিকল্পনা হিসেবে এই কার্গো আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জ্বালানি খাতের একাধিক কর্মকর্তা জানান, দেশের গ্যাস উৎপাদন বর্তমানে সীমিত পর্যায়ে থাকা সত্ত্বেও শিল্পায়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং নগরায়ণের বিস্তারের কারণে জ্বালানি চাহিদা প্রতি বছরই বাড়ছে। অভ্যন্তরীণ গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উৎপাদন কমে আসায় আমদানিনির্ভরতার হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে নিয়মিতভাবে এলএনজি আমদানি জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত এ কার্গো মূলত শীতকালীন সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি দামের অস্থিরতা বাংলাদেশের আমদানি ব্যয়ে প্রভাব ফেলছে। সেই বিবেচনায় আন্তর্জাতিক দর যাচাই করে তুলনামূলক অনুকূল দামে এলএনজি ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে। সরকারি পর্যায়ে পরিকল্পিত এলএনজি আমদানি অব্যাহত থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্ভাব্য ঘাটতি কমানো এবং শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পাবে।

সভায় আরও জানানো হয়, একই বৈঠকে ‘হাওর এলাকায় ফ্লাইওভার সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’-এর একটি বড় নির্মাণ প্যাকেজের অনুমোদন সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদিত প্যাকেজটি (সুনা/ধর্মপাশা/সিডব্লিউ-৬) সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে এবং এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। প্যাকেজটির নির্মাণকাজ সম্পাদনের জন্য এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে যোগ্য দরদাতা হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে।

হাওর অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবায় মানুষের ভোগান্তি বিদ্যমান। বর্ষা মৌসুমে পানিবন্দি পরিস্থিতি এবং শুষ্ক মৌসুমে অপর্যাপ্ত সড়ক সুবিধা এলাকাবাসীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অনুমোদিত এই অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ধর্মপাশা ও আশপাশের ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে জেলা সদর এবং আঞ্চলিক সড়কের যোগাযোগ দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন হবে। পাশাপাশি, দুর্যোগ সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে বন্যা ও অতিবৃষ্টির সময় নৌ-নির্ভর এলাকার ঝুঁকি কিছুটা কমানো যাবে।

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, হাওর অঞ্চলে স্থায়ী সড়ক সুবিধা গড়ে তোলা স্থানীয় কৃষি বাজারজাতকরণকে গতিশীল করবে এবং মৌসুমি উৎপাদন দ্রুত পরিবহন করা যাবে। উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং সরকারি সুবিধা প্রাপ্তিকে সহজ করবে। এই প্রকল্প স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা প্রত্যাশা করছে।

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা জানান, জ্বালানি আমদানি এবং অবকাঠামো উন্নয়ন– উভয় ক্ষেত্রেই এই অনুমোদনগুলো মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বজায় রাখা এবং আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। সর্বোপরি, শীতকালীন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং হাওর অঞ্চলে টেকসই যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলাকে চলমান উন্নয়ন কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com