1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘাত বৃদ্ধি, মধ্যস্থতায় উদ্যোগী যুক্তরাষ্ট্র সচিবালয়ে ভাতা দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে নন-ক্যাডার কর্মচারীরা মেগা প্রকল্প বন্ধ করে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগের অঙ্গীকার তারেক রহমানের ইমরান খানের সাক্ষাৎ নিষেধাজ্ঞা ঘিরে আদিয়ালা কারাগারে উত্তেজনা, পুলিশের অভিযান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার সুরক্ষায় স্থায়ী কাঠামো গঠনের ওপর জোর এসআই আফতাব উদ্দিন রিগানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপের দ্বাদশ বৈঠক শুরু নির্বাচন তফসিল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করছে নির্বাচন কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত আওয়ামী লীগবিষয়ক জনপ্রিয়তা জরিপের নৈতিকতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের প্রশ্ন

থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘাত বৃদ্ধি, মধ্যস্থতায় উদ্যোগী যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ০ বার দেখা হয়েছে

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ায় দুই দেশ পরস্পরকে বেসামরিক জনগণের ওপর হামলার জন্য দায়ী করেছে। পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে এবং গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার লক্ষ্যে দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সোমবার থেকে সংঘাত পুনরায় তীব্র আকার ধারণ করে। কয়েক মাসের টানাপোড়েনের পর কূটনৈতিক সমাধানের বিষয়ে উভয় দেশের অবস্থানও বিভক্ত হয়ে পড়ে। সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ, ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ এবং বেসামরিক এলাকায় আঘাত হানার ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

থাইল্যান্ড সরকারের মুখপাত্র সিরিপং অংকাসাকুলকিয়াত জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য মধ্যস্থতা নিয়ে এখনও কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়নি। ব্যাংককের অবস্থান হলো—তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় আলোচনার সূচনা নয়, বরং কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে উত্তেজনা কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণই আলোচনার পূর্বশর্ত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হলে প্রথমে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে হুমকি বন্ধ করতে হবে এবং আনুষ্ঠানিক আলোচনার প্রস্তাব জানাতে হবে।

অন্যদিকে, কম্বোডিয়া সরকারের মুখপাত্র পেন বোনা জানান, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশটি শান্তি চাইছে এবং প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে থেকেই সীমান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। তবে সংঘাতের উৎস সম্পর্কে তাদের অভিযোগ থাইল্যান্ডের ওপরই কেন্দ্রীভূত।

যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত তাকে উদ্বিগ্ন করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগামী দিনের মধ্যে তিনি টেলিফোনে উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি দাবি করেন, অতীতের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিরসনে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়ার মধ্যে উত্তেজনাও তিনি নিরসনে সহযোগিতা করতে চান।

সংঘাতের বিস্তার রোধে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়লেও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনার সম্ভাবনা সীমিত এবং তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। একই দিন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের এক উপদেষ্টা জানান, ব্যাপক উত্তেজনার মাঝেও তাদের দেশ যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে কম্বোডিয়া তাদের খেলোয়াড়দের থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান গেমস থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে। দেশটির দাবি, সীমান্ত এলাকায় থাইল্যান্ডের অভিযান বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।

থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার ছোড়া বিএম-২১ রকেট সুরিন জেলার ফানম দং রাক হাসপাতালের নিকটে আঘাত হানে, এরপর হাসপাতালের রোগী ও কর্মীদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়। এছাড়া সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ড্রোন, রকেট ও ট্যাঙ্ক ব্যবহারের অভিযোগও করেছে তারা। থাই বাহিনী দাবি করেছে, চং চম এলাকার দক্ষিণে একটি অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে, যা তাদের মতে সীমান্তের ওপারে অবস্থানরত কম্বোডীয় সেনাদের সহায়তায় ব্যবহৃত হচ্ছিল।

অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, থাইল্যান্ড পুরসাত প্রদেশে গোলাবর্ষণ ও সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করেছে। একই সঙ্গে বাত্তামবং প্রদেশের বাড়িঘরে মর্টার হামলা এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে বেসামরিক এলাকার কাছাকাছি বোমা ফেলেছে বলেও দাবি করে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধপূর্ণ, বিশেষত প্রোহ ভিহিয়ার মন্দির এলাকা কেন্দ্র করে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছে। সাম্প্রতিক সহিংসতা কেবল সামরিক ঝুঁকিই বাড়াচ্ছে না, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, বাণিজ্য এবং সীমান্তবাসীর দৈনন্দিন জীবনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।

উভয় দেশ নিজেদের অবস্থানে অটল থাকায় পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা এখনও অনিশ্চিত। তবে আন্তর্জাতিক মহলের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হলে সংঘাত প্রশমনের পথ খুলে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com