1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
জাতীয় নাগরিক পার্টির ১২৫ আসনে নারী প্রার্থী ১৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপির প্রার্থী তালিকায় ঢাকা বিভাগের ৩১ আসন তারেক রহমানের সম্ভাব্য দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন মির্জা ফখরুল ঢাকা-৭ আসনে এনসিপির মনোনয়ন পেলেন তারেক এ আদেল ইইউ কূটনীতিকদের সঙ্গে নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি নিয়ে এনসিপির মতবিনিময় বাংলাদেশ–আলজেরিয়া সহযোগিতা সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ রাষ্ট্রদূতের ইন্দোনেশিয়া ভিসা গ্রহণ ও জমা কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত প্রকৌশল পেশায় ডিগ্রিভেদজনিত দাবিদাওয়া পর্যালোচনায় কমিটির মেয়াদ বাড়ল পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র লিথুয়ানিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের পোস্টাল ভোট নিবন্ধন ৩ লাখ ছাড়িয়েছে

পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র লিথুয়ানিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পোল্যান্ডে নিযুক্ত এবং লিথুয়ানিয়ায় অনাবাসিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ময়নুল ইসলাম লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রপতি গিতানাস নাউসেদা-এর কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ধারাবাহিক অগ্রগতিকে আরও সুসংহত করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পরিচয়পত্র পেশের আগে রাষ্ট্রদূতকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাষ্ট্রপতি নাউসেদা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ময়নুল ইসলাম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির নিকট পৌঁছে দেন। রাষ্ট্রপতি নাউসেদা এ শুভেচ্ছা গ্রহণ করে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও গভীর করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকার এবং আগামীর পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বৃদ্ধি এবং শ্রমবাজারে সহযোগিতা গঠনমূলকভাবে জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষত লিথুয়ানিয়ায় দক্ষ ও অদক্ষ বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় উভয় পক্ষই গুরুত্ব দেন। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে শিল্প, সেবা ও প্রযুক্তি খাতে কর্মী চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় লিথুয়ানিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মীদের যুক্ত হওয়া সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।

রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতেও রাষ্ট্রদূত লিথুয়ানিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জানান, দীর্ঘমেয়াদে এ সংকটের স্থায়ী সমাধান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া সম্ভব নয়। বৈঠকে লিথুয়ানিয়ার পক্ষ থেকেও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

এ ছাড়া কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, প্রযুক্তি স্থানান্তর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় দুই দেশের সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প এবং জলবায়ু অভিযোজন–সংক্রান্ত বিভিন্ন সফল উদ্যোগ লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পরিচয়পত্র পেশের পূর্বে রাষ্ট্রদূত লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী টরিকাস ভ্যালিস, রাষ্ট্র ও কূটনৈতিক প্রোটোকল বিভাগের মহাপরিচালক জুরাতে লোশিয়েনে এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অধিদপ্তরের সিনিয়র কাউন্সেলর ক্রিস্টিনা বাবিচিয়েনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ বৃদ্ধির নানা দিক, বিশেষত অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার, শিক্ষা-বিনিময় কর্মসূচি সম্প্রসারণ এবং কনস্যুলার সেবার দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

সব বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল লিথুয়ানিয়ার দীর্ঘমেয়াদি ট্র্যাভেল ও রেসিডেন্স পারমিট (টিআরপি) ভিসার আবেদন বাংলাদেশে থেকে সহজিকরণ। রাষ্ট্রদূত মো. ময়নুল ইসলাম বাংলাদেশে ভিএফএস সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করেন। বর্তমানে লিথুয়ানিয়ার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া বিদেশে অবস্থিত সেন্টারগুলোতে সম্পন্ন করতে হয়, যা বাংলাদেশি আবেদনকারীদের জন্য সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। বাংলাদেশে ভিএফএস সেন্টার স্থাপন হলে টিআরপি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ, দ্রুত এবং স্বচ্ছ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী টরিকাস ভ্যালিস এবং লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রপতি উভয়েই এ বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থান ব্যক্ত করেন। তারা জানান, লিথুয়ানিয়ান শ্রমবাজারে বিদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ভিএফএস সেন্টার স্থাপন সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের মধ্যে শ্রম ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গতিশীল হবে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কও নতুন মাত্রা পাবে।

রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ ও ধারাবাহিক বৈঠকগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও লিথুয়ানিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুসংহত হওয়ার পথ তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কূটনৈতিক সূত্র মতে, ভবিষ্যতে বাণিজ্য, শিক্ষা বিনিময়, কর্মসংস্থান এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় নতুন উদ্যোগ গ্রহণের সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে। এই আনুষ্ঠানিকতা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com