রাজনীতি ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত সাত দিনব্যাপী ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণের জন্য দলের প্রতিটি স্তরে সংগঠিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনকে সহজ মনে করা হলেও বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। এ কারণে দলের অবস্থান সুসংহত রাখা এবং নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি বলে তিনি মত দেন। তারেক রহমান বলেন, জনগণের রায় নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, অংশগ্রহণকারীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দলীয় প্রচার, নীতি উপস্থাপন এবং নাগরিক পর্যায়ে যোগাযোগ জোরদারের কৌশল নিয়ে আলোচনা করছেন। দলীয় নেতারা বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৃণমূল পর্যায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কর্মশালার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নীতি, বার্তা ও কর্মপরিকল্পনার সমন্বিত কাঠামো সম্পর্কে অবহিত হচ্ছেন।
তারেক রহমান আরও বলেন, দলীয় পরিকল্পনাকে সীমিত পরিসরে না রেখে জনগণের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ ও গণসংযোগের মাধ্যমে নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ শক্তিশালী করা যেতে পারে।
কর্মশালায় দলের নীতিনির্ধারকরা জানান, নির্বাচনী প্রস্তুতি, মাঠপর্যায়ে প্রচার, ভোটারদের সাথে যোগাযোগ এবং নীতিগত অঙ্গীকার তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, দলের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নাগরিক পর্যায়ের প্রয়োজন ও প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সাজানো হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সভাপতিত্বে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। কর্মশালার আলোচনায় রাজনৈতিক যোগাযোগ জোরদার, প্রচার কার্যক্রম সুসংহত করা এবং সংশ্লিষ্টদের কার্যকর দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
সাত দিনব্যাপী এই কর্মশালায় নীতি, সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ কৌশল, নির্বাচনী প্রচার এবং মাঠপর্যায়ে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। নেতারা জানান, আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত সুপারিশ ও কর্মপরিকল্পনা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কর্মকৌশল নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।