1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে শিশু সাজিদের মৃত্যু, দীর্ঘ উদ্ধার অভিযানের অবসান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের ইচ্ছা, নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন অব্যাহত থাকবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হিসেবে দেখছে বিএনপি সরকারের উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন বিএনপির কর্মশালায় নির্বাচন প্রস্তুতি জোরদারের আহ্বান গণতান্ত্রিক চর্চার বিকাশে চলমান সংস্কারকে গুরুত্ব দিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনসভা আয়োজনের নিয়মাবলি প্রকাশ ২৪তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী উদ্বোধন, শিল্পচর্চায় স্বকীয়তা অর্জনের ওপর জোর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হিসেবে দেখছে বিএনপি

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

রাজনীতি  ডেস্ক

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত সাত দিনব্যাপী ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণের জন্য দলের প্রতিটি স্তরে সংগঠিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনকে সহজ মনে করা হলেও বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। এ কারণে দলের অবস্থান সুসংহত রাখা এবং নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি বলে তিনি মত দেন। তারেক রহমান বলেন, জনগণের রায় নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

কর্মশালায় জানানো হয়, অংশগ্রহণকারীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দলীয় প্রচার, নীতি উপস্থাপন এবং নাগরিক পর্যায়ে যোগাযোগ জোরদারের কৌশল নিয়ে আলোচনা করছেন। দলীয় নেতারা বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৃণমূল পর্যায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কর্মশালার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নীতি, বার্তা ও কর্মপরিকল্পনার সমন্বিত কাঠামো সম্পর্কে অবহিত হচ্ছেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, দলীয় পরিকল্পনাকে সীমিত পরিসরে না রেখে জনগণের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ ও গণসংযোগের মাধ্যমে নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ শক্তিশালী করা যেতে পারে।

কর্মশালায় দলের নীতিনির্ধারকরা জানান, নির্বাচনী প্রস্তুতি, মাঠপর্যায়ে প্রচার, ভোটারদের সাথে যোগাযোগ এবং নীতিগত অঙ্গীকার তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, দলের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নাগরিক পর্যায়ের প্রয়োজন ও প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সাজানো হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সভাপতিত্বে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। কর্মশালার আলোচনায় রাজনৈতিক যোগাযোগ জোরদার, প্রচার কার্যক্রম সুসংহত করা এবং সংশ্লিষ্টদের কার্যকর দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাত দিনব্যাপী এই কর্মশালায় নীতি, সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ কৌশল, নির্বাচনী প্রচার এবং মাঠপর্যায়ে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। নেতারা জানান, আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত সুপারিশ ও কর্মপরিকল্পনা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কর্মকৌশল নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার নতুন ধাপ হিসেবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক ধারার অগ্রযাত্রা নতুনভাবে শুরু হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে নির্বাচনমুখী পরিবেশ গঠনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) তফসিল ঘোষণার পর দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল জানান, ঘোষিত তফসিল দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মাইলফলক। তার মতে, এ দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন পর্বে আন্দোলন, দাবি এবং রাজনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে গেছে। তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচনের সময়সূচি স্পষ্ট হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো নতুনভাবে সাংগঠনিক প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুস্পষ্ট রূপ পেয়েছে। তিনি বলেন, দেশে কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি শক্তিশালী করতে শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অপরিহার্য।

আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রশ্নে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ হিসেবে নির্বাচনকে দল সবসময়ই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। বিএনপির মতে, রাজনৈতিক সংকট নিরসন এবং জনগণের ক্ষমতায়নের পথ নির্বাচনমুখী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সুগম হতে পারে। মির্জা ফখরুল জানান, ঘোষিত তফসিল সেই পথকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটি সমান সুযোগের পরিবেশ সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

বিএনপি মহাসচিব প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ, নিরাপদ প্রচারপরিবেশ এবং অবাধ নির্বাচনী কার্যক্রম নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বিত কার্যক্রম অপরিহার্য। এই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হলে সাধারণ ভোটার তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারবেন, যা গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে।

প্রতিক্রিয়ায় তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে ন্যায্য প্রতিযোগিতা তৈরি হলে জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগণের প্রত্যাশা হলো তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখবে।

বিএনপি সূত্র মতে, ঘোষিত তফসিলকে সামনে রেখে দলটি মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়ন ও শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা, প্রার্থী বাছাই এবং নির্বাচনী কৌশল প্রণয়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে। দলটি আশা করছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পরিবেশ আরও সুদৃঢ় হবে।

নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেন, নির্বাচন নিয়ে দলের কোনো শঙ্কা নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনই রাজনৈতিক সংকটের সমাধানের পথ, এবং এই কারণে বিএনপি সবসময়ই নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। তার মতে, তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচনমুখী প্রক্রিয়া এগিয়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের জন্য ইতিবাচক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে নির্বাচনী প্রস্তুতি ও আলোচনার পরিধি বৃদ্ধি পাবে। এটি কর্তৃপক্ষের ওপরও দায়বদ্ধতা বাড়াবে—নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার পাশাপাশি অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে। আগামী কয়েক সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি, প্রার্থী ঘোষণা এবং প্রচারণা পরিকল্পনা স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলের পর এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচনী প্রস্তুতি দ্রুততর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নতুন এক পর্যায়ে প্রবেশ করছে, যা শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে আরও সুদৃঢ় হতে পারে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com