1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, ঢামেকে চিকিৎসাধীন তফসিল ঘোষণায় সহযোগিতার প্রস্তুতি জানাল জামায়াতে ইসলামী ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই নির্বাচনের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন উত্তাপ ল্যুভ মিউজিয়ামে চুরি: তদন্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর ত্রুটি উদঘাটন শিশু সাজিদের মৃত্যুতে শোকাহত গ্রামবাসীর দাফন সম্পন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন জাপানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে পুনরায় শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি গ্রিসে অবৈধ নৌপথে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় দুই বাংলাদেশির মৃত্যু, চিকিৎসাধীন আরও অনেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও উচ্চ প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন, যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পরীক্ষা গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

পরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার সার্বিক অগ্রগতি, প্রশ্নপত্র ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে পরীক্ষার পরিবেশ পরিদর্শন করেন এবং এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রেও যান। একইভাবে স্বাস্থ্য সচিব ঢাকার ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসব পরিদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষার স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা সরেজমিন যাচাই করা।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, এ বছর ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে আবেদন করেছে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৪৯ হাজার ২৮ জন এবং মেয়ে ৭৩ হাজার ৬০৪ জন, যা প্রতি বছরই পরীক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা নির্দেশ করে। অন্যদিকে সীমিত আসনের কারণে প্রতিযোগিতা আগের মতোই তীব্র থাকছে। আবেদনকারীর সংখ্যার তুলনায় মোট আসন সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম হওয়ায় মেধা ও প্রস্তুতির ওপর চাপ বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

লিখিত পরীক্ষায় মোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ছিল। জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি বিষয়ে ১৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০। ভুল উত্তরের ক্ষেত্রে ০.২৫ নম্বর করে কাটা হয়েছে। এই পদ্ধতি পরীক্ষার মান বজায় রাখা এবং শিক্ষার্থীদের বোধগম্যতা ও প্রস্তুতির যথার্থ মূল্যায়নে সহায়ক বলে শিক্ষা প্রশাসন মনে করে।

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এ বছর মোট ৫,৬৪৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে এমবিবিএস ৫,১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫টি আসন। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে রয়েছে ৭,৪০৬টি আসন—এর মধ্যে এমবিবিএস ৬,০০১ এবং বিডিএস ১,৪০৫। সব মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩,০৫১টি। তন্মধ্যে এমবিবিএস ১১,১০১ এবং বিডিএস ১,৯৫০।

এ বছর পুনর্বিন্যাসের ফলে সরকারি ১৪টি মেডিকেল কলেজে মোট ৩৫৫টি আসন কমানো হয়েছে এবং তিনটিতে বাড়ানো হয়েছে ৭৫টি। ফলে নিট হিসেবে সরকারি আসন কমেছে ২৮০টি। অপরদিকে বেসরকারি ৬৬টি মেডিকেল কলেজে আসন কমেছে আরও ২৯২টি। এই পরিবর্তনের ফলে সামগ্রিকভাবে আসনসংখ্যা হ্রাস শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছে, আসনসংখ্যায় পরিবর্তন আনা হয়েছে অবকাঠামো, জনবল, শিক্ষার মান এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের মানদণ্ড অনুযায়ী মূল্যায়নের ভিত্তিতে।

গত শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৭ জানুয়ারি এবং বিডিএস পরীক্ষা ২৮ ফেব্রুয়ারি। এবার পরীক্ষা এক মাসেরও বেশি সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষা তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে শিক্ষাবর্ষ স্বাভাবিক সময়ে সম্পন্ন করা, সেশনজট কমানো এবং ভর্তি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার উদ্দেশ্যে।

পরীক্ষা চলাকালে কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার, মোবাইল ফোন নিষিদ্ধকরণ, প্রশ্নপত্র পরিবহনে বিশেষ নজরদারি এবং পরীক্ষার হলে পর্যাপ্ত তদারকির কারণে পরিবেশ সার্বিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিল বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য, এবং বহু কেন্দ্রেই সকাল থেকেই পরীক্ষার্থীরা আগে এসে নির্ধারিত হলে অবস্থান নেয়।

পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মূল্যায়ন কার্যক্রম শেষ হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশের পর মেধা তালিকা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ধাপ শুরু হবে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com