1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
১৪ বছর পর কলকাতায় লিওনেল মেসির আগমন, প্রীতি ম্যাচসহ ব্যস্ত কর্মসূচি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে পানি বণ্টন চুক্তি, সীমান্ত কৃষিতে স্বস্তির আশা কেরানীগঞ্জে জাবালে নূর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, সাত ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি শোবিজ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে রূপসজ্জাশিল্পে নতুন পদে মোনালিসার দায়িত্ব গ্রহণ ঢালিউডের শীর্ষ নায়িকাদের ছবিপ্রতি পারিশ্রমিকের বর্তমান চিত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎয়ের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রার্থীদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা, ওসমান হাদি হামলার ঘটনায় একজন শনাক্ত শরীফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টা: আসামি ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে তিন দিনের জন্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান জোরদার ও নির্বাচনকালীন নিরাপত্তায় বিশেষ হটলাইন চালুর সিদ্ধান্ত

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সম্ভাব্য আশ্রয়স্থলগুলোতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একই সঙ্গে নির্বাচনকালীন সময়ে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রতিরোধ ও দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিশেষ একটি হটলাইন নম্বর চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার ও সন্ত্রাসী তৎপরতা নির্বাচনকালীন নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সমন্বিত ও সক্রিয় ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান জোরদার, চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পর্যবেক্ষণ এবং অপরাধীদের সম্ভাব্য আশ্রয়স্থলে নিয়মিত তল্লাশি চালানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নাগরিকদের কাছ থেকে তথ্য গ্রহণ এবং জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সহায়তা দিতে একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চালু করা হবে। এই হটলাইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সন্দেহজনক কার্যক্রম, অবৈধ অস্ত্রের অবস্থান কিংবা যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির তথ্য সরাসরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে পারবেন। সরকার মনে করছে, এ উদ্যোগের ফলে তথ্যপ্রবাহ দ্রুত হবে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সভায় সাম্প্রতিক সময়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাও আলোচনায় আসে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই ঘটনাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদকালের একটি গুরুতর নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নির্বাচনমুখী পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি।

প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেন, হাদির ওপর হামলার ঘটনা ও এর পেছনের পরিকল্পনাকারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে হবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, চলমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নির্বাচনী সময়ের জন্য আলাদা নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এতে ভোটকেন্দ্র, প্রার্থী ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার, মোবাইল টিম ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া ইউনিট সক্রিয় রাখা এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী বিশেষ অভিযান পরিচালনার বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা মত দেন, নির্বাচনকালীন স্থিতিশীলতা রক্ষায় শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা নয়, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের দায়িত্বশীল আচরণও গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সরকারের একাধিক শীর্ষ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও আইনগত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারের প্রত্যাশা, এসব উদ্যোগের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং নাগরিকরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com